![]() |
একুশে মিডিয়া, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকোমরা ট্রাজেডির মূলহোতা ঐ গ্রামের আজগর আলীর ছেলে জহুরুল ইসলামকে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অন্যদিকে পুলিশী গ্রেফতার আতংকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শূন্যতা এবং বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থেকে আতংকের মধ্যে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে মাটিকোমরার শিক্ষার্থীরা। এসএসসি পরিক্ষার্থীদের পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। পুলিশের অব্যাহত অভিযানে শুক্রবার রাতেও কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মেজবাহ আহমেদ করেছেন, মাটিকোমরা গ্রামের একাধিক মামলার আসামী, মাদকসেবক ও বিক্রেতা জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাকে মামলা দিয়ে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই জহুরুলের কাছে ডিবি সদস্যরা আসতো এবং নিরিহ মানুষ গ্রেফতার ও অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া এবং গ্রামের কয়েকটা ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ফলে গ্রামবাসী ডিবি পুলিশকে ভূয়া ডিবি পুলিশ ভেবে তাদের গণধোলাই দেয়। জহুরুল পালিয়ে যায় এবং পরে পুলিশের সাথে গণগ্রেফতার পরিচালনায় সাহায্য করে। গণমাধ্যমে মানুষের ঘটনায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ দায় এড়ানোর জন্য তাকে গ্রেফতার করেছে বলেও গ্রামবাসী দাবী করেন।
এছাড়া শুক্রবার পুলিশী অভিযানে মাটিকোমরা গ্রামের হিরাদ আলীর ছেলে শাহাবাজ, হেরমত খাঁর ছেলে রাজ্জাক খাঁ, খোকন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুস সালাম ও আতর আলীর ছেলে আজজি রমনার বাড়িতে হামলা ও আসবাপত্র ভাংচুর করা হয়েছে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে।
পায়ে গুলি লেগে আহত অবস্থায় ফারুক মেম্বর হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসারর জন্য ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার কথা হলেও সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা যায়।
অন্যদিকে পুরুষ শূন্য মাটিকোমরা গ্রাম থেকে নারীরাও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে চরম আতংকে রয়েছে। জেএসসি পরীক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থেকে বাঁকড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে আতংকের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকালে মাটিকোমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অল্প কিছু শিক্ষার্থী এসেছিল। বাড়ি ছাড়া হওয়ার কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মাটিকোমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম একুশে মিডিয়া মিডিয়াকে জানান, বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৭১ জন। শনিবার পর্যন্ত ৭/৮ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণের টাকা জমা দিয়েছে। স্কুলের টাকা জমাদানের শেষ তারিখ ১১ নভেম্বর রোববার এবং বোর্ডের টাকা জমাদানের শেষ তারিখ ১৪ নভেম্বর। এই গনগ্রেফতারের মধ্যে এসএসসি পরিক্ষার্থী আছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থী গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে থাকার কারণে তাদের টাকা জমা দেয়া অনেকটা অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এবিসি
![]() |
No comments:
Post a Comment