সংসদ নির্বাচন নিয়ে আ’লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপে ৭ দাবি: যুক্তফ্রন্ট-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 2 November 2018

সংসদ নির্বাচন নিয়ে আ’লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপে ৭ দাবি: যুক্তফ্রন্ট-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার-ঢাকা:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপে ৭ দাবি জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট তাদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানায়।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে সংলাপ শুরু হয়।
যুক্তফ্রন্টের সাত দফা দাবি হলো- নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে সম্ভব না হলে নিষ্ক্রিয় করতে হবে; নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন শতভাগ রাষ্ট্রপতির অধীনস্থ করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর সংসদ সদস্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনও প্রকল্প উদ্বোধন বা প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় আইন করে মন্ত্রী ও এমপিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারি দলের প্রর্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার বা জাতীয় সরকার গঠনে প্রয়োজনে এক দিনের জন্য সংসদ ডাকতে হবে। অথবা মন্ত্রিপরিষদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা জোট থেকে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দিয়েও একটি সন্তোষজনক নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। নির্বাচনে সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার অথবা বর্তমান সরকারের নির্বাচন বিষয়ে সম্পূর্ণ ক্ষমতা সীমিত করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধ ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এবং নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর পর্যন্ত মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনীকে সীমিত ক্ষমতা দিতে হবে যেমন- আটক রাখার ক্ষমতা ও তাদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে দিতে হবে। যাতে করে ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে আটক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে এবং নির্বাচন সম্পর্কিত মামলা নির্বাচনের পর এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের মতো শুক্রবারও ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্বে রয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
সংলাপে উপস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের অন্য নেতারা হলেন— দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আবদুল মতিন খসরু, কাজী জাফরুল্লাহ, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তাদের সঙ্গে আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া এবং ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।
এছাড়া বি চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বিভিন্ন দলের ১৫ নেতা হলেন-বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, প্রকৌশলী মুহম্মদ ইউসুফ, সহসভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা, বিএলডিপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তুজা, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages