![]() |
একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার-ঢাকা:
নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়শী প্রশংসা করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।
সোমবার ৫ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে তারা উপরেক্ত বিষয়ে প্রশংসা করেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য রাইজার্ড জারনেকি নয় সদস্য বিশিষ্ট এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।
বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসন্ন নির্বাচন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, রোহিঙ্গা ইস্যু, সেইসাথে আর্থসামাজিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা কেবল আগামী নির্বাচন নিয়েই কৌতূহলী ছিলেন না উপরন্তু, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক, আঞ্চলিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কর্মসূচি এবং অন্যান্য বিষয়েও আগ্রহ দেখান বলেও জানান ইহসানুল করিম।
আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, তার সরকার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করেছে। স্বচ্ছতার সাথে ভোট গ্রহণের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ভোটারদের ছবিসহ ভোটার তালিকা সংযোজন করা হয়েছে। দীর্ঘকাল বাংলাদেশে সামরিক শাসন বলবৎ ছিল এবং আমরা দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পাশ্ববর্তী দেশ ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমা সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার প্রথম মেয়াদে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কোটা মুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ায় প্রশংসা করেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ রয়েছেন। সকল ধর্মের মানুষ শান্তি এবং সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূখন্ড ছোট, যেখানে প্রায় ১০ লাখের ওপর শরণার্থীকে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছে। মিয়ানমার তাদের ফেরত নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তার সরকার নারীদের রাজনীতি, প্রশাসন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করার জন্য নীতিমালা বাস্তবায়ন করছে, এখন নারীরা সকল জাতীয় এবং সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। এমনকি ক্রীড়াক্ষেত্রেও তাদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment