৪১ বছর বয়সে এসএসসি ভোকেশনাল (৯ম শেণিতে) পরীক্ষা দিচ্ছেন পলাশবাড়ীর রুমা। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 11 November 2018

৪১ বছর বয়সে এসএসসি ভোকেশনাল (৯ম শেণিতে) পরীক্ষা দিচ্ছেন পলাশবাড়ীর রুমা। একুশে মিডিয়া


মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
“লেখা পড়ার বয়স নাই, চলো সবাই স্কুলে যাই” শিক্ষাগ্রহনের এ শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে ৪১ বছর বয়সে এসএসসি ভোকেশনাল(৯ম শেণিতে) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার এক শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সাদুল্লাপুর ইদিলপুর শ্যামলের বাজার মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ধাপের হাট বি এম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন।
পরীক্ষার্থী পলাশবাড়ী উপজেলার গৃধারীপুর গ্রামের মৃত্যু শাহাজাদার স্ত্রী। পরীক্ষার্থী রুমা খাতুন জানান, চাকরির জন্য অন্তত একটি সার্টিফিকেট দরকার,আগে থেকে যদি পড়ালেখা করতাম তাহলে আজ অভাব অনাটনে সংসার চালাতে হত না, এটা বুঝতে পেরে পড়াশুনা শুরু করেছি আমি।
এক জন নারী হয়ে এ বয়সে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে চাই। আমার যদি সার্টিফিকেট থাকতো তাহলে আজ সংসার জীবনে ছেলে মেয়ে নিয়ে এতো কষ্টে থাকতে হত না।
রুমা খাতুনের এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলে ধাপেরহাট বি এল কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত,মেয়ে পলাশবাড়ী শিশু কাননে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে ব্যক্তি জীবনে তিনি স্বাবলম্বী হতে পারবেন বলেই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যখন বুঝতে পেরেছেন, চতুর্থ শ্রেণির একটি চাকরির আবেদন করতে হলেও অন্তত অষ্টম শ্রেণির একটি সনদপত্র দরকার হয়। সেই শিক্ষা থেকেই তিনি ইদিলপুর শ্যামলের বাজার মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভর্তি হয়ে নিয়মিত পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শ্যামলের বাজার মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মো. রওশন জামিল বলেন, বয়স হলেও পড়া লেখা কোন হাস্যকর ব্যাপার নয়; এই মূল মন্ত্র ধারণ করে তিনি ইদিলপুর শ্যামলের বাজার মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের থেকে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে এগ্রোবেসড ফুড বিষয়ে ভর্তি হয়ে চলমান এসএসসি ভোকেশনাল(৯ম শেণিতে) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাদুল্লাপুর সহকারী শিক্ষা অফিসার মো.শামছুজ্জামানের নজরে পরেন পরিক্ষার্থী রুমা খাতুন।
সাদুল্লাপুর সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.শামছুজ্জামান বলেন, লেখাপড়ায় কোন বয়স নাই, যে কোন বয়সে লেখা পড়া করা যায়। তার অনন্য উদাহরণ পরীক্ষার্থী রুমা খাতুন। জ্ঞান অর্জনে বয়সের চেয়ে নিজের ইচ্ছা শক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে রুমা লেখাপড়া বর্তমান সমাজ ও দেশের জন্য একটি উদাহরণ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages