শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ‘হাসিনা- অ্যা ডটার’স টেল’ ডকুড্রামাটি।একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 14 November 2018

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ‘হাসিনা- অ্যা ডটার’স টেল’ ডকুড্রামাটি।একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
শেখ হাসিনা এক আগুনপাখি। অহর্নিশ সংগ্রামের অপর নাম। পিতা মাতা ভাই আত্মীয় পরিজন হারিয়ে নিঃস্ব একাকী মেয়ে সেই যে যুদ্ধে নেমেছিলেন, আজও চলছে! বেঁচে থাকা নয় শুধু, বেঁচে থাকাটাকে অর্থপূর্ণ করে তোলার সচেতন প্রয়াস ছিল তাঁর। পিতার অযুত স্বপ্ন। স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছেন তিনি। এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধান হিসেবে সারাবিশ্বে আলাদা গুরুত্বের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এই জার্নিটার কথা সকলেই জানেন। নানা মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তবে এবারই প্রথম চলচ্চিত্রের ভাষায় বলা হচ্ছে শেখ হাসিনার কথা। ডকুমেন্ট্রি ফিল্মটির নাম ‘হাসিনাÑ এ ডটার’স টেল’। আগেই আলোড়ন তোলা তথ্যচিত্র আগামী শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে। এর আগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার গবেষণা সংস্থা ও ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ এ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট কনভেনশন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তথ্যচিত্রের নির্মাতা পিপলু খান, সিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস, ক্রিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর শিবু কুমার শীল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যচিত্র সম্পর্কে আগাম ধারণা দিয়ে পরিচালক বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কিছু বানাইনি। এখানে ঠিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যার গল্প তুলে ধরেছি। এত বড় কাজ। অথচ সহজ করেই বলেন পরিচালক। বলেন, কোন প্ল্যানিং ছাড়াই কাজে নেমে পড়েছিলাম। তখন ভাবনা ছিল, বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঙ্গে একটা সুযোগ, দেখি না কী হয়। এখন বুঝি, ছবিটা আমাকে অনেক বদলে দিয়েছে। শেখ হাসিনার মতো এত ব্যস্ত এত বড় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি প্রথম যেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ নিয়ে কথা বলতে বসি, তাঁকে বলেছিলাম, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্বোধন করে কাজ করতে পারব না। আমি আপনাকে আপা বলব। তাই হয়েছিল। তাকে নিয়ে কাজ করতে হলে আমাকে তার কাছে যেতে হবে। সে সুযোগ তিনি আমাকে দিয়েছিলেন।
তথ্যচিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি একটি বড় ইতিহাসকে ধারণ করার চেষ্টা করেছি। ইতিহাসের অংশ হওয়াটাই ছিল উদ্দেশ্য। তথ্যচিত্র মুক্তি পাওয়ার আগেই কাজটির প্রশংসা হচ্ছে। প্রমো দেখে কৌতূহল বেড়েছে দর্শকের। পরিচালকেরও প্রশংসা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিনয়ী কণ্ঠে তিনি বলেন, ব্যাপারটা সেরকম নয়। এটা আমার জন্য একটা আকস্মিক ঘটনা ছিল।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, আমরা মূলত প্রকাশনার কাজ করি। মুজিব গ্রাফিক নভেলের কাজ করেছি আমরা। এর পর থেকে ভাবছিলাম তরুণদের জন্য ডকুমেন্টেশনাল কিংবা আর্কাইভের কোন কাজ করব। ক্রমে সেটা তথ্যচিত্রে রূপ নেয়। প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি এগিয়ে নেয়ার কাজ করতে দেখছি। নেতৃত্ব দিতে দেখছি। তাঁর উন্নয়নের রাজনীতি সম্পর্কে আমরা একটি ধারণায় পৌঁছেছি। গত কয়েকদিন আগেও আমরা তরুণদের সঙ্গে একটি ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় গিয়ে দেখি, অনেক তরুণ ’৯০-এর গণআন্দোলনের কথা ভুলে গেছেন। রাস্তায় যখন পাখির মতো মানুষ মারা হয়েছে, তখন এসবের প্রতিবাদ করেছেন শেখ হাসিনা। এ ইতিহাস তরুণরা ভুলে গেছেন! তিনি বলেন, এটা ডকুমেন্টেশন হতে পারে এমন গ্রহণযোগ্য একটা কাজ আমরা করতে পারি কি না, ভাবছিলাম। পাঁচ বছর ধরে কাজ করি আমরা। দুই বছরের মতো সময় লেগেছে একটা জায়গায় দাঁড় করাতে।
এ কাজে শেখ রেহানার সন্তান এবং সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববির বড় ভূমিকা ছিল বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। ববি সব সময় নিবিড়ভাবে সঙ্গে ছিলেন।
সিআরআইয়ের ক্রিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর শিবু কুমার শীল বলেন, এই ছবিতে প্রথম যখন শুনছিলাম পিপলু ভাই বানাচ্ছেন, তখন আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। তিনি কখনও সিনেমা বানাননি। তাকে কিভাবে দেয়া হলো? মনে প্রশ্ন জেগেছিল। কিন্তু প্রথম রাফ কাট দেখার পর আমি চমকে গিয়েছি। মহাত্মা গান্ধীর পরে এ ধরনের ডকুমেন্টারি আর দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্যচিত্রের বিপণনের কাজ করছেন সৈয়দ গাওসুল আলম শাওন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘হাসিনাÑ এ ডটার’স টেল’ এটি একটি ডকু-ফিকশন। প্রথম দিন চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। স্টার সিনেপ্লেক্সে, ব্লকবাস্টার, মধুমিতা এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে ফিল্মটি দেখা যাবে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন নিয়ে নির্মিত এই তথ্যচিত্রটির প্রমো ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রমো দেখেই আবেগাপ্লুত দর্শক। ফিল্মটির ভাষা কাব্যিক। অনেকাংশে বিমূর্ত। অল্প কিছু ফুটেজ নিয়ে বানানো প্রমো একটা বড় দীর্ঘশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। চোখ ভিজিয়ে দিয়েছে দর্শকের।
৭০ মিনিটের ডকু-ড্রামায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা বদলের ইতিহাসও উঠে আসবে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের রক্তাক্ত অধ্যায় এবং রাজনৈতিক পালা বদলের কথা তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রে।
চলচ্চিত্রটির সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন সাদিক আহমেদ। সম্পাদনায় ছিলেন নবনীতা সেন। সঙ্গীত তো অধিকার করে নিয়েছে শ্রোতাকে। চমৎকার কাজ করেছেন ভারতের বিখ্যাত মিউজিশিয়ান দেবজ্যোতি মিশ্র। এই ডকু-ড্রামায় তার গাওয়া ‘আমার সাধ না মিটিলো’ গানটি আবেগে ভাসাচ্ছে। সব মিলিয়ে দারুণ প্রতিক্ষা করে ছিলেন দর্শক। কবে সব কাজ শেষ হবে? মুক্তি দেয়া হবে কবে? চলছিল খোঁজ খবর নেয়া। আর তার পর এলো মুক্তির ঘোষণা। ছবিটি দেখার জন্য সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি সিনেমা হলে যাচ্ছেন আলেম সম্প্রদায়ও। সব মিলিয়ে নতুন কিছুর আশা করা হচ্ছে। জনকন্ঠ অনলাইন সূত্র একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।
একুশে মিডিয়া/আরএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages