নাজমুল হুদাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 18 November 2018

নাজমুল হুদাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।একুশে মিডিয়া

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা
একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার-ঢাকা:
চারদলীয় জোট সরকারের সাবেত যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে চার বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা বহাল রেখেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছর ৮ নভেম্বর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ হুদা দম্পতির আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। এরপর আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলো।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই আপিল করেছিলেন নাজমুল হুদা। আপিল খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আজ রোববার ৬৭ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশ করা হয়।
একই মামলায় নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদার তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে সিগমা হুদার কারাগারে থাকাকালীন সময়কে সাজা বলে গণ্য করে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে বাকিটা মওকুফ করা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘দুর্নীতি একটি অভিশাপ। সমাজের সবক্ষেত্রে দুর্নীতি দেখা যায়। দুর্নীতির সমাজের নৈতিক অবস্থা নষ্ট করে এবং সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতি কেবল নৈতিক অবস্থাই নষ্ট করে না বরং এটি জাতীয় অর্থনীতি ও জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। সরকারের উচ্চপর্যায়ে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি করা হলে তা জাতীয় স্বার্থ, অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
রায়ের ফলে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কারাগারে যেতে হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার মালিকানাধীন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য জনৈক মীর জাহের হোসেনের কাছ থেকে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তারা।
২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটিতে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২০ মার্চ নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট। পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ১৩ এপ্রিল আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।


একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages