সিরাজগঞ্জে মাওলানা ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন।একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 17 November 2018

সিরাজগঞ্জে মাওলানা ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন।একুশে মিডিয়া


এম ডি হাফিজুর রহমান (সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি):
সিরাজগঞ্জে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
"যেদিন ক্ষুধা ও দারিদ্রতা শেষ হবে,    সেদিন আমার সংগ্রাম শেষ হবে"
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল  হামিদ খান ভাসানীর এই শ্লোগানকে ধারণ করে তাঁর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী তাঁর পৈতিক ভিটায় সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের সয়াধান গড়া উত্তর  পাড়ায় নানাকর্মসূচীর মাধ্যমে পালন করা হয়েছে।শনিবার (১৭নভেম্বর ১৮ইং) সকালে  ভাসানী পরিষদ সিরাজগঞ্জের আয়োজনে, কোরআন খতম, খাসজিয়ারত, আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। দোয়াও মোনাজাত পরিচালনা করেন, মাওলানা আব্দুস ছালাম।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিরাজগঞ্জ জেলা ভাসানী পরিষদের সভাপতি রাশেদুল হাসান রাসেদ। আলোচনা করেন, সাধারন সম্পাদক পলাশ খান, যুগ্ন-সম্পাদক আব্দুর রউফ রাব্বী, বাবু খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজখান সহ আরও অনেকে।
১৯৭৬ সালের এই দিনেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। রাজধানী ঢাকাসহ টাঙ্গাইলের সন্তোষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং আলোচনা সভা।
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। শোষণ ও বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
শোষণ ও বঞ্চনাহীন এবং প্রগতীশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন,  মাওলানা ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তার (ভাসানী) নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
তিনি বলেন, ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে ভাসানীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও মাওলানা ভাসানী অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন।

একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages