কর্মীদের পুষ্টি নিশ্চিত হলে পোষাকে উৎপাদন ও মান বৃদ্ধি পাবে: চসিক মেয়র নাছির। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 15 November 2018

কর্মীদের পুষ্টি নিশ্চিত হলে পোষাকে উৎপাদন ও মান বৃদ্ধি পাবে: চসিক মেয়র নাছির। একুশে মিডিয়া



একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এমিনেন্স ও গেইন পোষাক শিল্প কারখানায় পুষ্টিহীনতা দূর করার লক্ষ্যে পুষ্টিকর খাবার, আয়রণ ফলিক ট্যাবলেট সরবরাহকরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্য দিয়ে নারী শ্রমিকদের রক্তশূণ্যতা কমে আসবে। এতে করে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ও কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তৈরি পোষাক শিল্পের সুনাম বাড়বে এবং বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়ন অন্যতম একটি সূচক। এই সূচক অর্জন করা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এজন্য মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করতে হবে। মালিক-শ্রমিকের যৌথ স্বার্থ উদ্ধারের মাধ্যমে কিভাবে পোষাক শিল্পের উত্তরোত্তর সমৃৃদ্ধি অর্জন করা যায় তা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। 
আজ সকালে পেনিনসুলা হোটেলে এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট,গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইমপ্রæভড নিউট্রিশন (গেইন) একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন একথা বলেছেন। 

পোষাক শিল্প কর্মীদের পুষ্টি উন্নয়নে চট্টগ্রামের ১৫টি পোষাক শিল্প কারখানায় ‘স্বপ্ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের সুষম খাবার,সুপেয় পানির সরবরাহ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতকরণে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। “স্ট্রেনদেনিং ওয়ার্কার্স এক্সেস টু পারটিনেন্ট নিউট্রিশন অপর্চ্যুনিটিস (স্বপ্ন)” শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বেসরকারি সংস্থা এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট,গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এবং এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট। 
পোষাক শিল্প কারখানার নারী কর্মীদের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়নে কর্মকৌশল প্রণয়ন করে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা,পুষ্টিকে পোষাক শিল্পের নীতিমালায় অন্তর্ভূক্তিকরণ, কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মীদের পুষ্টিকর খাবার বিতরণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়,আইএলও,বিজিএমইএ,বিকেএমইএ সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। 

গবেষণা জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে উৎপাদন খাতে মোট ৪০ লক্ষ শ্রমিক সম্পৃক্ত রয়েছে। এর মধ্যে পোষাক শিল্প খাতে সম্পৃক্ত নারী শ্রমিক রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার। পোষাক শিল্প খাতের শ্রমিকদের প্রায় দেড় লাখ নারীই দীর্ঘ অপুষ্টি,রক্ত¯^ল্পতা,আয়রণ ¯^ল্পতায় ভুগছে। এই সংখ্যা জাতীয় গড় মাত্রার চেয়ে ২/৩ গুণ বেশি। ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি সংস্থা গেইন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৭ সালে ৪টি পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে কর্মসূচী শুরু করা হয়। 
আয়োজিত কর্মশালায় লিখিত বক্তব্যে 
কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন গেইন’র কান্ট্রি ডিরেক্টও ড. রুবাবা খন্দকার, এমিনেন্স প্রধান নির্বাহি ড. শামীম হায়দার তালুকদার, গেইন’র পোর্ট ফোলিও প্রধান মনিরুজ্জামান বিপুল,চসিক প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেজর মুর্তজা করিম প্রমুখ।

একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages