![]() |
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
আজ (৯ নভেম্বর) ২৭৪: প্রতি বছরই নড়াইলে বিভিন্ন বিল থেকে নির্বিচারে বিপুল পরিমান শামুক নিধন করা হয়। প্রতিবারের ন্যায় এবছরও নড়াইলের বিভিন্ন বিল থেকে শামুক নিধন করছে এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুরা। এভাবে প্রতি বছর বিপুল পরিমান শামুক নিধনের ফলে শীত মৌশুমে আসা অতিথি পাখি কমে গেছে। এভাবে শামুক নিধন করতে থাকলে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা সংশ্লিষ্ঠ মহল।
জানা যায়, নড়াইলে বিভিন্ন বিল থেকে শামুক কুড়ানো এখন ৬ হাজার নারী-পুরুষের মৌশুম পেশা হিসাবে পরিনত হয়েছে। মাছের ঘেরে ব্যবহৃত হচ্ছে এসকল শামুক।
নড়াইলের বিভিন্ন ঘেরে ব্যবহারের পাশাপাশি শামুক যাচ্ছে খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষিরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় এনজিও স্বাবলম্বীর নির্বাহী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান একুশে মিডিয়াকে জানান, কয়েক বছর আগে নড়াইলে বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার অতিথী পাখি আসতো। পাখিরা বিল থেকে শামুক খেয়ে বেচে থাকতো। ইদানীং নির্বিচারে শামুক নিধন করায় বিভিন্ন খালে বিলে আগের মত শামুক পাওয়া যায়না। ইতো মধ্যে নদী, খাল, বিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিথি পাখি আশা অনেক কমে গেছে। এভাবে শামুক নিধন করতে থাকলে অতিথী পাখি আশা একবারে বন্ধ হয়ে যাবে এবং পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
লোহাগড়া উপজেলার গন্ডব গ্রামের ৮০ বছর বয়সী কৃষক ইমান শেখ একুশে মিডিয়াকে জানান, ৭-৮ বছর আগে মরিচপাশা, গন্ডব, চালিঘাট এলাকায় খালে ও বিলে প্রতি বছর অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসতো। তখন পাখির কলতানে মুখরিত থাকতো গোটা এলাকা। তখন এই সব এলাকায় অনেক শামুক ছিল। বর্তমানে এলাকাতে তেমন শামুক পাওয়া যায়না অতিথি পাখিও চোখে পড়েনা।
প্রানী বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সদ্য বিদায়ী নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজের উপাধ্যাক্ষ বরুণ কুমার বিশ্বাস একুশে মিডিয়াকে জানান, প্রাকৃতিক উৎস থেকে যে শামুক পাওয়া যায়। সেই শামুক খেয়ে অনেক প্রাণী বেচে থাকে। নির্বিচারে শামুক নিধন করলে সেই সব প্রাণী পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাবে এতে আমাদের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। দ্রুত শামুক নিধন বন্ধ করার জোর দাবী জানান তিনি।
নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এনামূল হক একুশে মিডিয়াকে বলেন, শামুক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যও প্রয়োজন রয়েছে এটি নিধন করা ঠিক না। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পান্নির উৎপাদিত ফিস ফিড রয়েছে যাতে মাছ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে শামুকের উপাদানের চেয়েও অনেক বেশি। আমরা সেগুলো ব্যবহারের জন্য মৎস্য চাষীদের উৎসাহীত করছি। শামুক নিধন বন্ধে মাছ চাষীদের সচেতন করা হচ্ছে।
একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment