একুশে মিডিয়া রিপোর্ট:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে যাবো, ব্যালট যুদ্ধ করবো, জনগণ ভোট বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ (২২ নভে্বের) বৃহস্পতিবার বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা খাতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ‘ইভিএমকে না বলুন আপনার ভোট সুরক্ষিত করুণ’ শীর্ষক সেমিনারে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেউলিয়া আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ফিরে আসতে সব অপকৌশল করছে। ইভিএম তারই অংশ।
ফখরুল বলেন, এ সরকার গণতান্ত্রিক স্পেসগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপিকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। জটিল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন। কিন্তু আমরা তো যুদ্ধ করব না। যুদ্ধ করতে চাই না। তাদের মতো গণতন্ত্রের রাস্তা বন্ধ করতে চাই না।
তিনি বলেন, আমরা চাই গণতন্ত্র ফেরাতে। চাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন আজকে নির্বাচনে যাচ্ছি, তখনও আমাদের অসংখ্য নেতা কারাগারে রয়েছে। আমাদের প্রার্থী হওয়ার উপযুক্ত যারা, তারা কারাগারে রয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমনকি আমাদের নির্বাচনী মনোনয়ন প্রক্রিয়ার আসার পথে পথে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. মঈন খান, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুব্রত চৌধুরী, ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ প্রায় ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক ও ইভিএম বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল আরও বলেন, আবারও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য জোর করে সমস্ত অপকৌশলগুলোকে ব্যবহার করছে। জনগণের ওপরে যখন কোনও আস্থা থাকে না তখনই এসব কৌশল নেয়া হয়।
সেমিনারে ইভিএম এর সময়ভিত্তিক কারচুপি, সংখ্যা নির্ভর কারচুপি, ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ভর কারচুপির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইভিএম নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানা হয়। ইভিএমের কার্যকারিতা, ভোট কারচুপির বিষয় এবং এর জনবান্ধবতা আলোচনায় উঠে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতামতের পর ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ঐক্যফ্রন্ট। আপত্তি থাকলে সেগুলো লিখিত আকারে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। আরটিভি অনলাইন সূত্র একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment