‘জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র’ শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল টয়লেট থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার।একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 10 November 2018

‘জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র’ শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল টয়লেট থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার।একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, নীলফামারী রিপোর্ট:
নীলফামারী জেলা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেট থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শনিবার সকাল ১১টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শহরের ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজটি জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। পরীক্ষা চলাকালে সকাল ১১টার দিকে সেখানে কর্তব্যরত শহীদ জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুল আলম ক্যাম্পাসের টয়লেট ব্যবহার করতে যান। এসময় টয়লেটের প্যানে নবজাতকের লাশ দেখতে পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে জানান। অধ্যক্ষ মেজবা উল হকের খবরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টয়লেট থেকে ওই নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেজবা উল হক সাংবাদিকদের বলেন, একই ক্যাম্পাসে নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। নবজাতকের মরদেহটি পাওয়া গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা টয়লেটে। তবে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ওই ক্যাম্পাসটি ব্যবহার হচ্ছে বলে স্বীকার করেন।
নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে আমার বিদ্যালয় ব্যবহার করছে ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ। শনিবার জেএসসি ও জেডিসির বিজ্ঞান বিষযক পরীক্ষা থাকায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের সব শ্রেণী কক্ষসহ বিদ্যালয় মাঠে থাকা টয়লেটের তালা খুলে দেয় বিদ্যালয়ের পিয়ন জুয়েল ইসলাম।
নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন জুয়েল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমি বিদ্যালয়ের সব শ্রেণী কক্ষসহ বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা টয়লেটের তালা খুলে দেই। এসময় টয়লেটে কোনো কিছুই ছিল না। পরে কেউ টয়লেট ব্যবহারের অজুহাতে ওই মরদেহটি ফেলে রেখে যেতে পারেন।
নীলফামারী সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম বলেন, নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত ও বয়স নির্ধারণের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত চলছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গর্ভে থাকা ৫ থেকে ৬ মাস বয়সী ওই শিশুটিকে কেউ অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে মৃত অথবা জীবিত অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে যেতে পারেন।
কারেন্টনিউজ সূত্র একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages