একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি দিয়েছে বিএনপি।দুটি জোটের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরেই বিএনপির আসন বণ্টন নিয়ে দরকষাকষি চলছে। শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত দরকষাকষি এখনও শেষ হয় নি।
বিএনপি ২৪০ আসনে প্রার্থী দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শরিকদের সর্বোচ্চ ৬০ আসন দেবে।
এর মধ্যে ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলো পাচ্ছে ৪০-৪২ আসন। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলো পাচ্ছে ১৮-২০ আসন।
২০-দলীয় জোটে বিএনপিসহ দল আছে ২৩টি। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি ছাড়া দল আছে চারটি।
২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ২৫টি আসন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ২০ দলীয় জোট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন:
আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), আব্দুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), শামসুল ইসলাম ( চট্টগ্রাম-১৫), রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১), সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১), মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩), ইকবাল হুসেইন (পাবনা-৫), গোলাম রব্বানী (রংপুর-৫), মাজেদুর রহমান সরকার (গাইবান্ধা-১), মতিউর রহমান (ঝিনাইদহ-৩),হামিদুর রহমান আজাদ (কক্সবাজার-২)।
আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন (যশোর-২), আব্দুল খালেক (সাতক্ষীরা-২), আব্দুল ওয়াদুদ (বাগেরহাট-৩), মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), আবুল কালাম আযাদ (খুলনা-৬), আবদুল আলিম (বাগেরহাট-৪), রবিউল বাশার (সাতক্ষীরা-৩), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), শামীম সাঈদী (পিরোজপুর-১), ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫), হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬) ও শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫)।
তবে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। দলটির নিবন্ধন বাতিল করে গত ২৮ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে জামায়াতের দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment