![]() |
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:
ভালো নেই নড়াইলের খ্যাাতিমান চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের মেয়ে নীহার বালা। শেষ বয়সে এসে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। অথচ বাবার অসামান্য সব কীর্তির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন নিহার বালাই। এক সাক্ষাৎকারে সুলতান স্বীকার করেছিলেন, নীহারের সেবা যতেœই তার বোহেমিয়াম জীবনের অবসান ঘটে।
নিঃস্ব ও বাউল জীবনের অবসান আর বিশ্বজোড়া খ্যাতির পিছনে নীহারের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। সুলতানের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছেন তিনি।
এসএম সুলতান মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে বদলে যায় নীহার বালা চারপাশ। বয়সের ভারে ভেঙে পড়েছে শরীর। সামান্য সরকারি ভাতা ছাড়া নেই কোনো সম্বল। এমনকি বাবার স্মৃতি জড়ানো সেই সুলতান ভবনও ছেড়ে দিতে হয়েছে। সরকারের দেয়া দুই রুমের জরাজীর্ণ একটি বাড়িতেই তার বসবাস।
নীহার বালা অভিযোগ করেন, সুলতানের সঙ্গে তার যেসব ছবি ছিল সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তার এখন দিন কাটে নিতান্তই বেঁচে থাকার তাগিদে। সম্বল শুধুই স্মৃতি, থেকে থেকেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাবার মুখ।
৮৭ বছর বয়সের এ নারী সুলতানের কারণেই হয়েছেন ইতিহাসের অংশ। আজ সুলতান নেই। ভালো নেই তিনিও।
মানবেতর জীবনযাপন করছেন নীহারবালা একুশে মিডিয়াকে জানান, নিজেই। প্রতিবছর অনুষ্ঠিত সুলতান মেলা ও সুলতান উৎসবে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। সুলতানকে জানতে চান এমন দর্শনার্থীরা খোঁজ করেন নীহারকে। তাদেরকে অকৃপণ মনে, স্মৃতি হাতড়ে বাবার সম্পর্কে নানা তথ্য জানান নীহার বালা। সুলতানের শেষ জীবনে আঁকা চিত্রকর্মগুলো ছিল বিশ্বমানের।
এ সময়টাতে তার অবলম্বন ছিলেন নীহারবালা। ৭০ এর দশকে স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুর পর বিধবা নীহার জড়িয়ে পড়েছিলেন সুলতানের সঙ্গে। অসুস্থ, বেকার, বোহেমিয়ান সুলতানকে আকড়ে ধরেছিলেন নিজের দুই শিশু কন্যাসহ।
সুলতান তাকে দিয়েছিলেন মেয়ের মর্যাদা। নীহারও আগলে রেখেছিলেন সুলতানকে। নীহার বালার দুর্দশা সম্পর্কে ডিসি আনজুমান আরা বেগম বলেন, নীহার বালার ভাতা বৃদ্ধির চেষ্টা হরা হবে। প্রশাসন তাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment