স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নড়াইলের ডাব যাচ্ছে এখন বিভিন্ন জেলায়।একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 27 November 2018

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নড়াইলের ডাব যাচ্ছে এখন বিভিন্ন জেলায়।একুশে মিডিয়া


উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:
আজ (২৮,নভেম্বর)-২৭৪: নড়াইল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিমাসে অন্তত ২ কোটি টাকার ডাব যাচ্ছে। আর ৫০ লাখ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে স্থানীয়দের কাছে।
বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, জেলার প্রায় ৫০০ ডাব ব্যবসায়ী ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসত বাড়িতে, পতিত জমিতে, উঁচু জমিতে, ঘেরের পাড়সহ বিভিন্ন জমিতে লাগানো গাছ থেকে উৎপাদিত ডাবই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। তবে কোথাও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ চাষ হয় না।
জেলার কালিয়া উপজেলার জাহাঙ্গীর ২১ বছর ধরে এ ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, সামান্য পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। এলাকা থেকে তিনি নিজে ডাব কিনে মধুমতী নদী পথে ট্রলারে করে খুলনাসহ আশেপাশের জেলাতে বিক্রি করতেন। ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন তিনি প্রতিদিন অন্তত এক ট্রাক ডাব ঢাকা, চিটাগাংসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠান।
তার ম্যানেজার মো. আসলাম একুশে মিডিয়াকে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৫৬ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়া আছে।
তারা প্রতিদিন এলাকা ঘুরে গৃহস্তের গাছ থেকে ডাব কিনে। গাছ থেকে সংগ্রহ করা ডাব তিনটি গ্রেডে ভাগ করা হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের কাছ থেকে আকার ভেদে এই ডাব ১০ থেকে ১২ টাকায় ক্রয় করে। স্থানীয় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে সেই ডাব তারা ১৭ থেকে ১৯ টাকায় বিক্রি করে। যা ঢাকাসহ বড় শহরে ২৩ থেকে ২৫ টাকা পাইকারী দরে বিক্রি হয়।
ছোট কালিয়ার কৃষক মো. তমিজ মিয়া একুশে মিডিয়াকে বলেন, তার বাড়িতে ৩২টি নারিকেল গাছ আছে। প্রতি গাছ থেকে বছরে ৫০ থেকে ২০০ ডাব বিক্রি করেন তিনি।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মিঠুন কুমার একুশে মিডিয়াকে বলেন, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে কৃষকদের বাড়ি থেকে প্রতিদিন তিনি ১০০ থেকে ২৫০ ডাব ক্রয় করে প্রতিদিনই বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করেন। দিনে তার ৫০০ থেকে ১৫০০টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।
খুলনার ফিলপা নগরের ব্যবসায়ী ধলু মোল্লা একুশে মিডিয়াকে বলেন, একটি ট্রাকে ৫-৯ হাজার ডাব পরিবহন করা যায়। নড়াইল থেকে এক ট্রাক ডাব ঢাকায় নিতে পরিবহন খরচ দিতে হয় ১৪-১৭ হাজার টাকা। পথে অন্তত ২০-২৫টি স্থানে ১০-১০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়।
আর এক ব্যবসায়ী বুলবুল একুশে মিডিয়াকে বলেন, প্রতিদিন জেলার তিনটি উপজেলা থেকে ৪-৫ ট্রাক ডাব বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। একটি ট্রাকে ১লক্ষ ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ডাব থাকে। দিনে ৭-৮ লক্ষ টাকার ডাব বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী করা হয়। আর মাসে অন্তত ২ কোটি টাকার ডাব রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।
জেলার সিভিল সার্জন মুন্সি আসাদুজ্জামান দীপু একুশে মিডিয়াকে বলেন, ডাবে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে এছাড়া ডাবের পানির অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শিশুসহ সবারই পরিমাণমত ডাবের পানি পান করা উচিত। তবে খালি পেটে ডাবের পানি পান না করে কিছু খাওয়ার পর পান করার পরামর্শ দেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নড়াইলের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় একুশে মিডিয়াকে বলেন, আমরা কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদানসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছি। নারিকেল গাছের উপর আমাদের আলাদা প্রোগ্রাম রয়েছে। প্রতিবছরই কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের নারিকেল চারা বিতরণ করা হয়।



একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages