নড়াইলের রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিনের বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের একাধিক মাদক মামলার আসামি মিজানুর রহমান মিয়ার ছেলে রাসেল সম্প্রতি একটি কনসার্ট অনুষ্ঠানের জন্য স্কুলের বেঞ্চ নিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুদিন ধরে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়। কয়েক দিন আগে রামদা নিয়ে বাড়ির ওপর এসে শাসিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহ ধরে স্কুলের পড়াশোনা ও ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
রাত দেড়টার দিকে আমাদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আমি আমার বৃদ্ধা মা, দুই বোন তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হয়ে বেচে যাই।
স্কুলশিক্ষিকা জানান, আগুনে একটি মোটরসাইকেল, সাইকেল, ঘরের যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে নড়াইল থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ লক্ষাধিক টাকা বলে তিনি জানান।
তবে অভিযুক্ত রাসেল মিয়া বলেন, ফরিদা আপা আমাদের স্কুলের ম্যাডাম। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে একটু ঝামেলা চলছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একটি পক্ষ নিয়ে তেমন কাউকে না ডেকেই কমিটি গঠন করেছে। আমার অপরাধ আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং ফেসবুকে তা নিয়ে লেখালেখি করেছি। আমি মূলত এলাকার পলিটিকসের শিকার। ঘটনার সময় আমি ঘুমিয়েছিলাম। এসব বিষয়ে কিছুই জানি না।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন পিপিএম বলেন, অগ্নিকা-ের খবর শুনে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় মামলা রয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment