![]() |
একুশে মিডিয়া, ফরিদা ইয়াছমিন, চট্টগ্রাম থেকে:
চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান, আসকার দীঘির পাড়, বাকলিয়া, বউবাজার, ব্যাটারিগলি, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।
রোববার থেকে শুরু হওয়া গ্যাস সংকট সোমবারও ছিল। এর ফলে চুলা জ্বালাতে পারেননি গৃহিণীরা। ফলে হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে খেতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ মাটির চুলায় রান্না করেন। কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এ গ্যাস সংকট বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দিঘীর পাড়ের বাসিন্দা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক সাহেদা পিয়া আএকুশে মিডিয়াকে বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চুলা জ্বলছে না। ফলে সকালের নাস্তা দোকান থেকে ক্রয় করে আনতে হয়েছে। দুপুরের খাবার রান্না করতে পারব কিনা এখনও জানি না। গ্যাস না থাকায় দুর্ভোগে আছি।
নগরীর বউবাজার এলাকার শায়েলা নুসরাত কায়েস একুশে মিডিয়াকে বলেন, সকাল থেকে গ্যাস নেই। ঘুম থেকে উঠে দেখি চুলা জ্বলছে না। ফলে সকালে বাচ্চাদের হোটেল থেকে ক্রয় করে এনে নাস্তা খাওয়াতে হয়েছে। খুবই কষ্টে আছি।
গতকাল রোববারও সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত গ্যাস ছিল না। তবে বিকেল থেকে গ্যাস এসেছিল, তবে চাপ কম ছিল।
হালিশহর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম একুশে মিডিয়াকে বলেন, গ্যাস না থাকার কারণে বিপদে আছি। হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমদ মজুমদার একুশে মিডিয়াকে বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এ গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এলএনজি সরবরাহের পর থেকে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেতাম। কিন্তু গতকাল থেকে পাচ্ছি মাত্র ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কারিগরি ত্রুটি সাড়াতে এলএনজি কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেজিডিসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল চৌধুরী একুশে মিডিয়াকে বলেন, গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে শিল্প কারখানার মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। গ্যাস সংকটে উৎপাদন কমে গেছে। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এতে করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
No comments:
Post a Comment