একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
৭ই ডিসেম্বর। এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে নোয়াখালী জেলা মুক্ত হয়। নোয়াখালী মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর জেলার অভ্যন্তর থেকে পাক বাহিনী তাদের মুল ঘাঁটিগুলো থেকে পালিয়ে যায়। তাদের দোসর রাজাকার, আলবদররা জেলা শহর মাইজদীর নাহার মঞ্জিল, মাইজদীকোর্ট রেল স্টেশন, হরিনারায়নপুর, দত্তের হাট রাজাকার ক্যা¤প ও পাক হানাদার বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি পিটিআই’র হোস্টেলে থেকে যায়।
৬ ডিসেম্বর রাতে বৃহত্তর নোয়াখালীর বিএলএফ প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ফজলে এলাহী, অ্যাডভোকেট মমিন উল্যাহ, মিজানুর রহমান, ফজলুল হক বাদল, মোজাম্মেল হক মিলন, জিএস কাশেম, রফিক উল্যা কমান্ডার, মাইন উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ উল্যাহ, মোশারফ হোসেন, ভিপি জয়নাল আবেদীন, আবুল কাশেম ব্যাঙ্কার, কারী করিম উল্যাহ, কামাল উদ্দিন, আলী আহাম্মদ চেয়ারম্যান,জয়নাল আবেদীন চেয়ারম্যান, লেদু মিয়া চেয়ারম্যান, সফিকুর রহমান, মোস্তফা কামাল, আজিজুর রহমান ইকবাল ও মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহানসহ সব বাহিনীর কয়েক শত মুক্তিযোদ্ধা মাইজদীর রাজাকার আল বদরদের ক্যাম্পগুলো ঘিরে আক্রমণ চালায়।
সারারাত ও পরদিন বিকাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলে।
এ সময় কয়েকজন রাজাকার নিহত হয় এবং অনেকে পালিয়ে যায়। শক্র পক্ষের গুলিতে শহীদ হন নোয়াখালী কলেজের অধ্যাপক আবুল হাসেম, ছাত্র নজরুল ইসলাম স¦পন, সরকারী কর্মকর্তা আবদুল জলিল, নাজির বসু মিয়া ও একজন অজ্ঞাত আনসার সদস্য। আহত হন মুক্তিযোদ্ধা মাইন উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
একই সময় সুবেদার লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে সুবেদার শামছুল হক সহ মুক্তিযোদ্ধারা বেগমগঞ্জে টেকনিক্যাল হাই স্কুল সহ বিভিন্ন ক্যাম্পের শক্রদের পরাজিত করে বিজয় পতাকা উড়িয়ে দেয়। শত্রু মুক্ত হয় নোয়াখালী।
সেই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা হাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ জয় বাংলা স্লোগানে সারা জেলা প্রকম্পিত হয়।
মুক্তদিবস উপলক্ষে বিকেলে জেলা শহরের পিটিআইয়ের সামনে মুক্ত স্কোয়ারে জেলা মুক্ত দিবস উদ্যাপন পরিষদ দিনব্যাপি নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। এতে মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজ্জামেল হক মিলন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment