এম এ হাসান, কুমিল্লা:
রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, নতুন বোতলে পুরাতন বিষ জামাত এখন ধানের শীষ, জামাতের আমলে চৌদ্দগ্রাম ছিলো সন্ত্রাসীদের জনপদ। আলকরার মানুষ জামাত-শিবিরের হাতে জিম্মি ছিলো। ওই সময় নির্বাচিত এমপি জামাত নেতা তাহেরের গাড়িতে দুইপাশে থাকতো দুইজন সন্ত্রাসী একজন মোতাইয়া অন্যজন মোন্নাইয়া তাদের পকেটে থাকতো পিস্তল সহ অসংখ্য অস্ত্র।
এদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফলে প্রশাসন তাদের ওই সময়েই র্যাবের মাধ্যমে ক্রসফায়ার দেয়। ওই সস্ত্রাসীরা সে সময় আওয়ামীলীগের অসংখ্য কর্মীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করেছে।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই সন্ত্রাসী রাজত্ব থেকে মানুষদের নিরাপদে থাকার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে আলকরার মানুষের উপর কোন নির্যাতন করেনি সাধারণ মানুষ নিজেদের স্বাধীনতা নিয়ে অবাধে বাড়ি ঘরে থাকতে পেরেছেন। অবহেলিত চৌদ্দগ্রামে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড করে চৌদ্দগ্রামকে একটি উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
রেলপথমন্ত্রী ১১ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সর্ব দক্ষিনের ইউনিয়ন আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের চৌদ্দগ্রামে একটি জনবিচ্ছিন্ন দল নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে তাও বিএনপির মতো একটি দেওলিয়া দলের প্রতিক ধানের শীষ নিয়ে। এদের কোন চরিত্র নেই এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য যেকোন সময় নিজেদের চরিত্র নষ্ট করে দেয়। যা বর্তমান সময়ে অন্যদের উপর ভর করে ধানের শীষ নিয়ে মাঠে এসেছে। এরা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একটি নিষিদ্ধ দল।
এরা অতিতে চৌদ্দগ্রামবাসীকে ধোঁকা দিয়ে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলো। নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের মানুষের কল্যানে কোন উন্নয়ন না করে নিজেরা পকেট ভারী করেছিলো। এরা দেশের মানুষের সাথে ১৯৭১ সালেও বেঈমানী করেছে এরা এদেশের কল্যাণ চায়না। এরা নিজেদের কল্যাণ চায় যা ইতো পূর্বে ২০০১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর চৌদ্দগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।
বর্তমানে নির্বাচনে তারা বিএনপির কাঁধে ভর করে আবারো নির্বাচনে প্রার্ হয়েছেন। তিনি একজন ফেরারী আসামী তার প্রকাশ্যে ভোট চাওয়ার মতো কোন সৎসাহস নেই। তাই চৌদ্দগ্রামের মানুষের কল্যানে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে চৌদ্দগ্রামকে একটি আলোকিত মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এসব সন্ত্রাসীদের বিতারিত করে নৌকায় ভোট দিয়ে চৌদ্দগ্রামকে একটি আলোকিত চৌদ্দগ্রাম গড়তে সুযোগ দিবেন। তাই আগামী ৩০ তারিখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চাওয়ার জন্য আমি আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি এবং আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি গ্রাম হবে শহর।
আলকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম ভূঁঞার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসান, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ ওমর ফারুক, কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আলী হোসেন চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র মিজানুর রহমান, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সামছুল আলম মজুমদার, কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক আহাম্মেদ মিয়াজী, বিশিষ্ট শিল্পপতি কামাল আহম্মেদ চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, রাশেদা আখতার, গোলাম ফারুক হেলাল, উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, গুণবতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহব্বায়ক ভি পি আবুল খায়ের সৈয়দ আহাম্মদ খোকন, জগন্নাথদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁঞা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াদ হোসেন জাবেদ প্রমূখ। এর পূর্বে মন্ত্রী উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি বাজার ও তারাশাইল বাজারে এক পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এছাড়াও কনকাপৈত ইউনিয়নের জঙ্গলপুর গ্রামে একটি আওয়ামী লীগ অফিস উদ্ভোধন করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment