একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার-ঢাকা:
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে ৬ দফার ইশতেহার দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।
আজ সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ‘তারুণ্যের ইশতেহার’ নামে একটি প্রস্তাবনা নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির তাদের ইশতেহারটি গ্রহণ করেন। ১৮ সদস্যদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও সাধারণ ছাত্রঅধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হাসান।
বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থান, চাকরির নিয়োগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক, যুব অ্যাসেম্বলি এবং বিবিধ শীর্ষ ছয়টি মূল দফার আলোকে এক গুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
এর আগেই ফারুক হাসান জানান, তারা ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা’ শীর্ষক প্রস্তাবনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে হস্তান্তর করছেন। এরই অংশ হিসেবে বিএনপিকে দিচ্ছেন। ঐক্যফ্রন্ট কার্যালয়ে গিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করে তাকেও এই ইশতেহার দেয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব দলকে দেয়া হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই নেতা আরো বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে এদেশের তরুণ, বিশেষ করে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার কি চাই, এই ইশতেহারে সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তারুণ্যের জন্য আলাদা প্রতিশ্রুতি দিক।’
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। সে সময় মেধাতালিকা ২০ শতাংশ বরাদ্দ রেখে, ৪০ শতাংশ জেলাভিত্তিক, ৩০ শতাংশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এবং ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার এই কোটা ব্যবস্থাটি পরিবর্তন করা হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর চালু হওয়া কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment