একুশে মিডিয়া, পাবনা রিপোর্ট:
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়াড়া গ্রামে সুলতান ও আক্কাস গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এবং নিহতরা দুজনই সুলতান গ্রুপের বলে পুলিশ জানায়।নিহতরা হলেন উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাউডাঙ্গা গ্রামের মৃত গহের খাঁর ছেলে লস্কর খাঁ (৬৫) এবং ভাঁড়াড়া গ্রামের মৃত আহেদ আলীর ছেলে মালেক শেখ (৪৭)।
পাবনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জালাল উদ্দিন জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুলতান গ্রুপ ও আক্কাস গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে লস্কর খাঁ ও মালেক শেখ নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় দুপক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এসময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এলাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ১০-১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন এবং আহতদের সবাই পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে ভাঁড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ খান জানান, আক্কাস গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও সুলতান ও তার লোকজন কখনই আওয়ামী লীগ করেনি। তারা জাসদ করে। সুতরাং সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপ বলা যাবে না।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন জানান, আক্কাস ভাড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং সুলতান কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যোগদান করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যুগান্তর অনলাইন সূত্র একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment