![]() |
একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার-ঢাকা:
আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেধীন মহাজোটের মনোনীত প্রার্থীদের হাতে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ।
৩০০ নির্বাচনী আসনে শুক্রবার ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে চুড়ান্ত প্রার্থীদের হাতে এ চিঠি পৌঁছে যাবে। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷
এ চুড়ান্ত চিঠি শুধু আওয়ামী লীগ নয় মহাজোট থেকে শরিক দল গুলোর যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের চিঠিও একই সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির মিটিং এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দলের এবং জোটের মনোনয়ন নিশ্চিত করা। আমরা আমাদের নেত্রী দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে দলের এবং জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আজকালের মধ্যে আমরা এ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবো। যাদের আমরা মনোনয়ন দিয়েছি আজ থেকে শুরু করে আগামীকালের মধ্যে সবকটিতে চিঠি পৌঁছাতে পারবো বলে আশা রাখছি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া সহজ ছিল না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দল অনেকদিন ধরে ক্ষমতায়, অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিল এবং জমা দিয়েছে। এর মধ্য থেকে সঠিক প্রার্থী বাছাই করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। তারপরও একটা সুবিধা ছিল আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ বছর ধরে ছয় মাস অন্তর অন্তর সার্ভে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন।
৫ থেকে ৬ টি দেশী-বিদেশী সংস্থা এই জরিপ কার্য সম্পাদন করেছে। ৬ মাস পর পর এটা আপডেট হয়েছে। আমাদের এবারের নমিনেশন এ জরিপ রিপোর্টগুলো মূল ভূমিকা পালন করেছে। জরিপ রিপোর্ট গুলো আপডেট করাতে আমরা আমাদের প্রার্থীদের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছি। জরিপ এর বাইরে ও প্রশাসনিকভাবে পুলিশ প্রশাসন সিভিল প্রশাসন বিভিন্ন লেভেলেও আমরা সার্ভে করিয়েছি।
শুধু আওয়ামী লীগ নয় শরিক এবং বিরোধী পক্ষের প্রার্থীদের নিয়ে একই প্রক্রিয়ায় জরিপ করা হয়েছে বলে এসময় জানান কাদের।
এতে করে অনেকটা নির্ভার ছিলো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড জানিয়ে ক্ষমতাসীনদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন, এতে করে আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের যেমন বিএনপি এবং অন্যান্য অপোজিশনে যারা আছে এলাকায় তাদের অবস্থান কি সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছি। এতে শুধু আমাদের দলের অবস্থানটাই পরিষ্কার হয়নি, আমরা অন্যান্য দলের জনমত জরিপের অবস্থান বুঝতে পেরেছি এসবই বিচার-বিবেচনা করে আমরা মনোনয়ন বোর্ড কয়েক দফা মিটিং করে মনোনয়ন পর্ব শেষ করেছি।
মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বন্টন নিয়ে কোন সংকট নেই বলেও এ সময় জানান তিনি। বিএনপি রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, আমাদের দেশে একটি পুরনো অভিযোগ নির্বাচন এলেই মনোনয়ন বাণিজ্য! আমি এতটুকু বলতে পারি এই মনোনয়ন বাণিজ্য আওয়ামী লীগকে স্পর্শ করেনি। এতে করে বড় ধরনের স্বস্তি আমরা পাচ্ছি। আমাদের প্রতিপক্ষ ঐক্যফ্রন্টের যে মনোনয়ন প্রক্রিয়া তাতে ১৪১জন বাদ পড়ার পরও ৫৫৫জন রয়ে গেছে। তাদের মনোনয়নের যে রমরমা কারবার এবার সবাই লক্ষ্য করেছে।
টাকা নিয়ে মনোনয়ন দিতে না পেরে বিএনপির অনেক নেতা পালিয়ে গেছেন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিতে যারা টাকা দিয়েছেন তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মনোনয়নের জন্য। এখন প্রতিক্রিয়াটা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। টাকা পয়সা ছাড়া বিএনপিতে মনোনয়ন এটা কল্পনাও করা যায় না। যারা মনোনয়ন পায়নি তারা এখন টাকার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ আবার মনোনয়নের টাকা নিয়ে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment