নড়াইলে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া ফুটফুটে শিশুটিকে বাঁচানো গেলো না। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday, 18 December 2018

নড়াইলে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া ফুটফুটে শিশুটিকে বাঁচানো গেলো না। একুশে মিডিয়া


উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:
নড়াইলে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া নবজাতক কন্যা শিশুটি চলে গেল না ফেরার দেশে। মঙ্গলবার (১৮,ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা দিকে নড়াইল সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধুখোলার গ্রামের একটি মেহেগুনি বাগানের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরির্চযা কেন্দ্রে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
উন্নতর চিকিৎসার প্রয়োজনে শিশুটিকে খুলনায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, নড়াইলে এক নবজাতক কন্যা শিশুকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি বাগান থেকে উদ্ধার থেকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। শিশুটি নড়াইল সদর হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরির্চযা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা দিকে নড়াইল সদরের চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধুখোলার গ্রামের একটি মেহেগনি বাগানের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই গ্রামের মোঃ সামিউল প্রথম বাচ্চাটির সন্ধান পায়। মোঃ সামিউল বলেন,“মঙ্গলবার সকালে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের মেহেগুনি বাগানের মধ্যে থেকে একজন শিশুর কান্না শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে একটি শিশুকে মাটিতে শুয়ানো অবস্থায় কান্না করতে দেখতে পাই। বিষয়টি আমি এলাকাবাসী জানাই।” স্থানীয় যুবক মলয় জানান, দুপুর ১২টার দিকে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা একটি মটরসাইকেলে এসে শিশুটিকে এখানে ফেলে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান শিশুটি দেখতে অনেক সুন্দর। চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের সদস্য মোস্তফা কামাল বলেন,“ সংবাদ শুনে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে শিশুটিকে প্রাথমিক পরিচর্যা শেষে হাসপাতালে এসে ভর্তি করেছি। এখন পর্যন্ত শিশুটি পরিচয় জানা যায়নি।” নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রোকসানা আরিফ বলেন, “দুপুর আড়াই টার দিকে শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
প্রসবের পর প্রায় আড়াই ঘন্টা শিশুটি বিনা পরিচর্যায় ছিল। বর্তমানে শিশুটির অবস্থা বেশ খারাপ। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি যে সুস্থ্য হয়ে উঠবে। এরপর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনায় নেয়া হয়। কিন্তু শিশুটির আর সুস্থ্য হয়ে ফেরা হয়নি। দেখা হয়নি নতুন সূর্যের আলো। খুলনায় নেয়ার পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। মানবতা, মনুষ্যত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কে বা কারা- কাদের জন্য, কি কারণ, কোন ভুলের জন্য আজ এই নিষ্পাপ শিশুটির জীবন দিতে হলো তা সকলকে ভাবিয়ে তুলছে। মানুষ কতটা নির্দয় হলে এমন পাষবিক হয়ে উঠতে পারে যার জন্য ফুটফুটে বাচ্চাটির কাছ থেকে তার বেঁচে থাকার অধিকার টুকু কেড়ে নিতে পারে।
পুলিশ সরজমিনে গিয়ে বা তদন্ত করেও কি লাভ হবে? নিষ্পাপ প্রাণটির আর ফেরা হবে না। এই সৃষ্টির সৌন্দর্য্য তার আর উপভোগ করা হবে না, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের এই কলুষিত, পাষ- রূপটি আর তাকে দেখতে হবে না। তবে এভাবে চলতে থাকলে শিশুটির মত আরো অনেক নিষ্পাপ জীবনের বিসর্জণ দিতে হবে। সমাজ কি চায়? আজ মানবতা লজ্জিত, পরাজিত। শত চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচানো গেলো না। হয়ত একবুক অভিমান নিয়ে সে প্রস্থান নিল।


একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages