কার্যকর প্রদক্ষেপ নেই প্রশাসনের শীতলক্ষ্যার তীর কেটে ইট ভাটায় মাটি বিক্রির মহোৎসব।একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 11 December 2018

কার্যকর প্রদক্ষেপ নেই প্রশাসনের শীতলক্ষ্যার তীর কেটে ইট ভাটায় মাটি বিক্রির মহোৎসব।একুশে মিডিয়া


প্রতিবেদক-আল-আমিন মুন্সী:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ের মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শতাধিক ট্রলার ভরে নদীর তীরের মাটি সংগ্রহ করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্র। আর এসব মাটি তারা বিক্রি করছেন পার্শ্ববর্তী ইটভাটাগুলোতে ।
দীর্ঘদিন ধরে এসব মাটি বিক্রির কাজ চললেও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে নীরব ভূমিকায়। যার কারণে ওই প্রভাবশালী চক্রটি অহরহ মাটি কেটে যাচ্ছে। তাদের দেখাদেখি নদীর মাটি বিক্রির সাথে যুক্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও। তারা এখন চাষাবাদ না করে টাকার লোভে নদীর তীরের মাটি বিক্রি করছেন। এতে করে ভাঙন আতংকে পড়ছে নদীর পাড়ের এলাকা গুলো। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা থেকে চরসিন্দুর ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জের জামালপুর থেকে দক্ষিণ নারগানা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর দুই তীরে ১৫টি স্থানে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। প্রতিটি স্পটে ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক মাটি কেটে ট্রলারে তুলছেন। পরে ট্রলার ভরে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইটভাটাগুলোতে।
পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক শ্রমিক নদীর তীর ঘেষে ফসলি জমির মাটি কাটছেন। ১০-১২টি ট্রলার বোঝাই করে মাটি অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। এভাবে গত এক মাস ধরে এখান থেকে মাটি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মাটি কাটার কাজে নিয়েজিত শ্রমিকরা জানান, তারা মজুরির বিনিময়ে এখান থেকে মাটি কাটছেন। সারাদিনে ২০ থেকে ২৫ টি ট্রলার ভরতে হয়। খোজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার নুরুল ইসলাম ভূইয়া নামে এক মাটি ব্যবসায়ী এখান থেকে মাটি বিক্রি করছেন।
এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি একুশে মিডিয়াকে জানান, এটি তার পৈতিক সম্পত্তি। এখানে ফসল হয়না বলে তিনি মাটি বিক্রি করছেন।
অপরদিকে কালীগঞ্জের দক্ষিণ নারগানা গ্রামে নদীর তীরের মাটি কাটার বিষয়ে স্থানীয়রা একুশে মিডিয়াকে জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আশাদ মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মোড়ল মাটি বিক্রি করছেন। তাদের ভয়ে মাটি কাটার কাজে কেঊ বাধা দিতে সাহস পাচ্ছে না। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে আশাদ ও মানিক জানান, তারা কোনো মাটি বিক্রি করছেন না। এসব ওই এলাকার কৃষকরা বিক্রি করছেন।
এছাড়া দক্ষিণ নারগানার আরেকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীর জুড়ে একাধিক স্থানে বড়বড় গর্ত। জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, নদীর এসব জায়গায় কৃষকরা ফসল করত। কিন্তু তারা ফসল না করে মাটি বিক্রি করছেন। আশেপাশের বিভিন্ন ইটভাটার লোকেরা তাদের কাছ থেকে মাটি কিনে নেয়। মধ্য আকাঁরের একটি ট্রলার ভরে মাটি বিক্রি করলে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তাই টাকা পেয়ে তারা মাটি বিক্রি করছেন।
নদীর তীরের মাটি কাটায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা একুশে মিডিয়াকে জানান, অনেকেই তো মাটি বিক্রি করছে। প্রশাসন তো কাঊকেই বাধা দিচ্ছে না।
এ ব্যাপরের জামালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুব খান ফারুক একুশে মিডিয়াকে জানান, মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থায়ী ভাবে এটি বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা অনেকবার ইউএনও ও এ্যাসিলেন্ট মহোদয়কে অবগত করেছি। কিন্তু তারা কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি। 
নদীর তীরের মাটি কাটারা বিষয়ে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুসফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা একুশে মিডিয়াকে জানান, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages