উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:
আজ (৭,ডিসেম্বর)-২৭৪ নড়াইল-১ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে বিপাকে পড়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
একাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেয়ায় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি এবং কে হচ্ছেন ধানের শীষের কান্ডারি এই নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। মহাজোটের শরিকদল বাংলাদেশ জাসদ প্রার্থীকে নিয়ে চলছে আলোচনা।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমে চিঠি দেয়া হয়েছিল বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক মুক্তিকে। একদিন পর এটি পরিবর্তন করে মহাজোটের শরিকদল বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে নতুন করে মনোনয়ন দেয়ায় উভয় প্রার্থীই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মনোনয়নের চিঠি পাওয়ায় তাদের সমর্থকরা পৃথক পৃথকভাবে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন। দু’পক্ষের নেতাকর্মীরাই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তবে গুঞ্জন রয়েছে, দলীয় কোন্দল এবং গ্রুপিংয়ের কারণে এ আসনের আ’লীগের একটি বড় অংশ বর্তমান এমপি কবিরুল হক মুক্তির দুর্নীতি,অনিয়ম ও দলীয় নেতাকর্মীদের দূরে ঠেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের দলে ভিড়িয়ে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নিকট লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের কারণে মহাজোট প্রার্থী শরীফ নুরুল আম্বিয়ার মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত বলে দাবি তার সমর্থকদের।
অন্যদিকে বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও লে.কর্নেল (অবঃ) সাজ্জাদ হোসেনকে দলীয় মনোনয়নের জন্য চিঠি দেয়ায় উভয় প্রার্থীই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দুই শিবিরেই মনোনয়ন নিশ্চিত বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের ২ জন, বিএনপির ২ জন, জাপার ১ জন ও ইসলামী আন্দোলনের ১ জনসহ ১১জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
আরও জানা গেছে, আ’লীগের পক্ষে দলীয় ও মহাজোট প্রার্থীকে মনোনয়নের চিঠি দেয়ায় বিবদমান দু’টি গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা ও অব্যাহত বিক্ষোভ। অন্যদিকে,জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের পক্ষে বিএনপির দুই নেতাকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেয়ায় তাদের মধ্যেও দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সমর্থকদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
অতিসম্প্রতি, উপজেলার চাঁচুড়ী বাজারে বিএনপির একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ প্রধান দু’টি দলের তথা জোটের ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে কোন দু’জন বাদ পড়বেন এবং কে কে থাকবেন ? এ নিয়ে উভয় দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment