আনোয়ার হোসেন :>>>
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডেসিন বিভাগের ডাক্তার সালাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত (পরীক্ষা নামে) কমিশন বানিজ্যেরও অভিযোগ উঠেছে। সদর হাসপাতালের ডাক্তারের সংকটকে পুঁজি করে রোগীদের রীতিমত জিম্মী করে টাকা পাহাড় গড়ে তুলছে এ অর্থ লোভী ডাক্তার। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসা গরীব রোগীরা গলাকাটা ফি না দিতে পেরে বাধ্য হয়ে বিনা চিকিৎসা বাড়ী ফিরে যেতে হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, সরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে বাধ্য করে তার প্রাইভেট চেম্বারে আসতে। ৭০০ টাকা ভিজিটে বিকাল ৩টা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সদর হাসপাতাল সংলগ্ন দীঘির পূর্ব পাড়ে নিউ মেডি কমপ্লেক্সে রোগী দেখেন তিনি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা সালাহ্ উদ্দীনের চেম্বারকে ঘিরে থাকতে। কমিশনের বিনিময়ে তাদের ঔষধ কোম্পানীর লেখছে কিনা তার জন্য রিতীমত পাহারা বসিয়ে রেখেছে তারা।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন ৬নং বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের খুরশিদ বেগম (৫০) পেট ব্যাথা, বদ হজম সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সদর হাসপাতালের ডাক্তার সালাহ উদ্দীনের কাছে আসেন। যাহার রেজিঃ নং ৩৯৮৫ তাং- ৪/২/২০১৯ইং, রোগীর সকল কথা শুনে শুধু মাত্র ৬টি ইমেপ ২০মিঃগ্রাঃ ট্যাবলেট লিখে বিদায় করে দেন। পরে আবার সালাহ উদ্দীনের প্রাইভেট চেম্বারে যোগাযোগ করলে সিরিয়াল না পেয়ে বাধ্য হয়ে পরের দিন ৫ ফেব্রুয়ারি আসলে তাকে ৭০০ টাকা ভিজিটের বিনিময়ে ৬পদের ঔষধ এবং সাথে কিছু পরিক্ষা লিখে দেন।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক্তার সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসা এবং প্রাইভেট চিকিৎসা এক হয় না। আমি আমার ইচ্ছামত চিকিৎসা করব।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তফা খালেদ আহম্মেদ এই ব্যাপারে বলেন, ‘ডাক্তার সালাহ উদ্দীন কি চিকিৎসা দিয়েছেন তা তিনিই জানেন। আমি এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি নই বলে জানান তিনি।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment