প্রতিবেদক-আনোয়ার হোসেন:
পানি দিতে দেরি করায় লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ শিল্পী আক্তারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরভূতা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আবদুল জাব্বারের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে গৃহবধূর দেবর নিরব হোসেন, শ্বশুর মোসলেম মিয়া ও শাশুড়িসহ তিনজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন । তবে ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘বুধবার দুপুরে শিল্পী আক্তারকে তার দেবর নিরব হোসেন খাবার পানি দিতে বলেন।
এ সময় গৃহবধূ বাড়ির পুকুরে কাজ করছিলেন। পরে পুকুর পাড়ে গিয়ে শিল্পী আক্তারকে দেবর নিরব হোসেন পানি দিতে দেরি হওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে এবং তলপেটে লাথি মেরে হত্যা করে পুকুর পাড়ে ফেলে পালিয়ে যায় দেবর নিরব হোসেন।
এ সময় গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়িও পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে। সন্ধ্যায় পুকুর পাড়ে গৃহবধূর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত শিল্পী আক্তারের ভাই আমির হোসেন জানান, ‘গত ৬ বছর আগে তার বোনকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরভূতা এলাকার মোসলেম মিয়ার ছেলে হারুনুর রশিদের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে তারা কুমিল্লায় বাস করতেন। গত দেড় বছর আগে তার বোনকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন হারুন। হারুন কুমিল্লার একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার দিন হারুন বাড়িতে ছিলেন না।’ তার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, ‘এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment