বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনিয়মের বিষয় নিয়ে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিবাদী সভায় বক্তব্য রাখছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকসঙ্গীতশিল্পী যদু গোপাল বৈষ্ণব।
|
একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি ও অনুষ্ঠান বাণিজ্য নিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বস্তরের কবি, সাংবাদিক, শিল্পী, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালকদের সমন্বয়ে গঠিত চট্টগ্রাম বেতার টেলিভিশন ও মঞ্চ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদী সভা গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৬টায় নগরীর মোমিন রোডস্থ কদম মোবারক এম ওয়াই উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সংগঠনের উপদেষ্টা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণসঙ্গীত শিল্পী যদু গোপাল বৈষ্ণবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তরা বলেছেন বীর চট্টগ্রামের মাটিতে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি অনুষ্ঠান বাণিজ্য এবং দালালিপানা বর্দাস্ত করা হবে না।
অবিলম্বে এসব^ অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি ও জামাত ঘরনার প্রেতাত্মা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার নুরুল আজম পবন ও জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টচার্য্য সহ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় অবিলম্বে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
শিল্পী আনন্দ প্রকৃতির সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণ লাল আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম লিয়াকত হোসেন, কবি সঙ্গীতজ্ঞ স্বপন কুমার দাশ, গীতিকবি ও সঙ্গীত শিল্পী ইকবাল হায়দার, লোকশিল্পী শংকর দে, সঙ্গীত শিল্পী বীণাপাণি চক্রবর্ত্তী, লোকশিল্পী মো: সেকান্দর, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহানা বেগম, মাসুমা কামাল, মো: গোলাম রহমান, কণ্ঠশিল্পী হ্যাপী দাশ, কবি স্বপন বড়–য়া, কণ্ঠশিল্পী রেখা বড়–য়া, লেখক ডা: মো: জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিকবান্ধব হলেও চট্টগ্রামে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিল্পী সম্মানী ৫০% বৃদ্ধি করা সত্ত্বেও এ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা তা কর্তন করে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করছে।
এছাড়াও এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত গান কেটে জাতির পিতাকে অবমূল্যায়নের মত দুঃসাহসিকতা তারা দেখিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর রচিত গান কাটা সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ০৪ ডিসেম্বর’১৮ইং বিটিভি’র অর্থ পরিচালক মো: রাহাত আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল আসলে সমস্ত তথ্য উপাত্তসহ প্রমানাদি পেশ করার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রতিবাদ সভায় এহেন কর্মকান্ডের জন্য বক্তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী শিল্পীবান্ধব হওয়ার কারণ সত্ত্বেও চট্টগ্রাম শিল্পীদের সঙ্গীত পরিচালনা ও সুরকার এবং গীতিকার সম্মানী দেওয়া হচ্ছে না। একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে দুর্নীতিবাজদের স্বার্থে দর্শক শূন্যের কোঠায় ঠেলে দিচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিজ্ঞপ্তি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment