ঝিনাইদহ জেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা যথাযথ তদারকী ও খোঁজ না নেওয়ার কারণে হরিলুট হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে যে সকল কর্মকর্তাদের উপর মনিটরিং করার দায়িত্ব দেওয়া আছে তারা অনেকটা ঠুটো জগন্নাথের ভুমিকা পালন করে থাকেন।
কথিত আছে ব্যাংক ম্যানেজার ও ট্যাগ অফিসারদের ম্যানেজ করে চেয়ারম্যান মেম্বররা অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শ্রমিকদের সাক্ষর জাল করে তুলে নিচ্ছেন। তৈরী করা হচ্ছে ভুয়া প্রকল্প।
নীতিমালা বহির্ভূত কোন ব্যায় না করার বিধান থাকলেও চেয়ারম্যানদের ইচ্ছার বাইরে কেও যেতে পারেন না। চলতি বছর নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে যথেচ্ছা তছরুপ হয়েছে এই প্রকল্পের টাকা। জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে অভিযোগ জমা পড়ার খবর রয়েছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঝিনাইদহ জেলায় ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সরদার মজুরী ৬ লাখ ৭০ হাজার, নন-ওয়েষ্ট কষ্ট ৪১ লাখ ৮৫ হাজার ও শ্রমিক মজুরী ৭ কোটি সাড়ে ৮৮ লাখ টাকা। সারা জেলায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৮৫৬ জন। জেলার মধ্যে সবচে বেশি বরাদ্দ শৈলকুপায় ২ কোটি সাড়ে ৭ লাখ টাকা। অথচ ওই উপজেলায় লুটপাটের পরিমান বেশি, যা বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নির্দেশিকা মোতাবেক কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ তদারকীর মুখ্য দায়িত্ব পালন করবেন এসএনএসপির উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা। তাকে শতভাগ দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা কাজে অনিয়ম পেলেও টাকা কর্তন বা শাস্তিমুলক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না।
এছাড়া ইউএনও ১০%, পিআইও ৪০%, ডিডিএলজি ৫%, ডিআরও ১০% ও ট্যাগ অফিসার ২৫% ইজিপিপির কাজ তদারকীর কথা। কিন্তু তারা করেন না বলে অভিযোগ। কাজ না দেখেই তারা টিএডিএ তুলে নিচ্ছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ইউনিয়নের সচিবরা সরদারদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।
সরদাররা এই টাকা দিনমজুরদের কাছ থেকে কেটে রাখেন। কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ১১ জন মেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে কর্মসৃজনে দুর্নীতি ও তাদের সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ দিয়েছেন। মধুহাটী ইউনিয়নের নাম প্রকাশে এক মেম্বর অভিযোগ করেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যান কোথায় খাটান তা আমাদের জানান না। কোন মিটিংও করা হয় না। প্রায় সব ইউনিয়নেই এমন অভিযোগ থাকে প্রতি বছর। তদন্ত করলেই জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে বলে অভিযোগকারীরা মনে করেন। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করেই তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং তাদের বিশেষ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে টাকা তুলে নেওয়ার একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের বরাবর দেওয়া হয়েছে।
১৩ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নে প্রতিবারই কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ করার সময় ১০৬ জন শ্রমিককে ২০০ টাকা দৈনিক মজুরি দিয়ে করানো হয়। কাজের টাকা আমরা ব্যাংক হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করি। কিন্তু এবার প্রকল্পের কাজ আমাদের দিয়ে আংশিক করানো হয়েছে এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে সব টাকা কৌশলে তুলে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের কথিত বিশেষ প্রতিনিধি লিটন খান নামে এক ব্যক্তি এ সব কাজ করে যাচ্ছেন বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্যাগ অফিসার বলেন, প্রায় সব চেয়ারম্যান রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের কথা না শুনলে অপমান করা হয়।
ঝিনাইদহ সদরের এসএনএসপির উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান বলেন, আমরা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যথাসাধ্য চেষ্টা করি শতভাগ কাজ আদায় করার। তবে ঝিনাইদহ সদরে এই প্রকল্পে তেমন একটা অভিযোগ নেই।
একুশে মিডিয়া/এমএ
কথিত আছে ব্যাংক ম্যানেজার ও ট্যাগ অফিসারদের ম্যানেজ করে চেয়ারম্যান মেম্বররা অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শ্রমিকদের সাক্ষর জাল করে তুলে নিচ্ছেন। তৈরী করা হচ্ছে ভুয়া প্রকল্প।
নীতিমালা বহির্ভূত কোন ব্যায় না করার বিধান থাকলেও চেয়ারম্যানদের ইচ্ছার বাইরে কেও যেতে পারেন না। চলতি বছর নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে যথেচ্ছা তছরুপ হয়েছে এই প্রকল্পের টাকা। জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে অভিযোগ জমা পড়ার খবর রয়েছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঝিনাইদহ জেলায় ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে সরদার মজুরী ৬ লাখ ৭০ হাজার, নন-ওয়েষ্ট কষ্ট ৪১ লাখ ৮৫ হাজার ও শ্রমিক মজুরী ৭ কোটি সাড়ে ৮৮ লাখ টাকা। সারা জেলায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৮৫৬ জন। জেলার মধ্যে সবচে বেশি বরাদ্দ শৈলকুপায় ২ কোটি সাড়ে ৭ লাখ টাকা। অথচ ওই উপজেলায় লুটপাটের পরিমান বেশি, যা বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নির্দেশিকা মোতাবেক কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ তদারকীর মুখ্য দায়িত্ব পালন করবেন এসএনএসপির উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা। তাকে শতভাগ দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা কাজে অনিয়ম পেলেও টাকা কর্তন বা শাস্তিমুলক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না।
এছাড়া ইউএনও ১০%, পিআইও ৪০%, ডিডিএলজি ৫%, ডিআরও ১০% ও ট্যাগ অফিসার ২৫% ইজিপিপির কাজ তদারকীর কথা। কিন্তু তারা করেন না বলে অভিযোগ। কাজ না দেখেই তারা টিএডিএ তুলে নিচ্ছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ইউনিয়নের সচিবরা সরদারদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।
সরদাররা এই টাকা দিনমজুরদের কাছ থেকে কেটে রাখেন। কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ১১ জন মেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে কর্মসৃজনে দুর্নীতি ও তাদের সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ দিয়েছেন। মধুহাটী ইউনিয়নের নাম প্রকাশে এক মেম্বর অভিযোগ করেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা চেয়ারম্যান কোথায় খাটান তা আমাদের জানান না। কোন মিটিংও করা হয় না। প্রায় সব ইউনিয়নেই এমন অভিযোগ থাকে প্রতি বছর। তদন্ত করলেই জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে বলে অভিযোগকারীরা মনে করেন। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করেই তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং তাদের বিশেষ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে টাকা তুলে নেওয়ার একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের বরাবর দেওয়া হয়েছে।
১৩ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নে প্রতিবারই কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ করার সময় ১০৬ জন শ্রমিককে ২০০ টাকা দৈনিক মজুরি দিয়ে করানো হয়। কাজের টাকা আমরা ব্যাংক হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করি। কিন্তু এবার প্রকল্পের কাজ আমাদের দিয়ে আংশিক করানো হয়েছে এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে সব টাকা কৌশলে তুলে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তদের কথিত বিশেষ প্রতিনিধি লিটন খান নামে এক ব্যক্তি এ সব কাজ করে যাচ্ছেন বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্যাগ অফিসার বলেন, প্রায় সব চেয়ারম্যান রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের কথা না শুনলে অপমান করা হয়।
ঝিনাইদহ সদরের এসএনএসপির উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান বলেন, আমরা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যথাসাধ্য চেষ্টা করি শতভাগ কাজ আদায় করার। তবে ঝিনাইদহ সদরে এই প্রকল্পে তেমন একটা অভিযোগ নেই।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment