উজ্জ্বল রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট নড়াইল■:>>>
নড়াইলের মাউলী ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের ৮২ বছরের বৃদ্ধা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মৃত আহম্মাদ বিশ্বাসের স্ত্রী সখিনা বেগম বয়স্ক ভাতার একটি কার্ডের আশায় দ্বারে-দ্বারে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। পাঁচ সন্তানের জননী তিনি। নবগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনে সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু আগেই। দু’টি ছেলে ভ্যান চালক ও তিন মেয়ে বিবাহিত।
ছোট ছেলে হাসমত বিশ্বাসের সংসারেই তিনি বসবাস করেন। বয়সের ভারে এখন সখিনা বেগম চলা ফেরা করতে পারেন না। অপরদিকে বার্ধক্য জনিত রোগেও তিনি আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। অভাব অনটনের সংসারে মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না ভ্যানচালক ছেলেরা।
অসুস্থ শ্বাশুড়ীর চিকিৎসা সহায়তা আর বয়স্কভাতার একটি কার্ডের দাবিতে সখিনার ছোট পুত্রবধু খাদিজা বেগম সম্প্রতি এসেছিলেন কালিয়ার ইউএনও মো.নাজমুল হুদার নিকট। ইউএনও তার শ্বাশুড়ীর প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্রের ফটোকপির ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার জন্য সুপারিশ লিখে দেন।
বৃদ্ধা সখিনার বৌ-মা খাদিজা অভিযোগ করে বলেন,‘পরিবারের অভাব অনটনের কারণে বয়োবৃদ্ধ শ্বাশুড়ীর চিকিৎসা করাতো দূরের কথা,ভরণ পোষণ করতেই আমাদের হিমশীম খেতে হচ্ছে। একটি বয়স্কভাতার কার্ড আমার শ্বাশুড়ীর দীর্ঘদিনের দাবী।’
বৃদ্ধা সখিনার আক্ষেপ করে বলেন,‘সরকার দেশের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বয়স্কভাতা দিচ্ছেন। তখন আমি কেন মৃত্যুর আগে পাবো না ? আমার বৌ-মা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের নিকট ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হয়নি।অবশেষে আমার বৌ-মা খাদিজা বাধ্যহয়ে ইউএনও’র সুপারিশ করা কাগজ নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট জমা দিয়েছে। এখন দেখিনা কি হয়?’
উপজেলার মাউলী ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে ওই ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.আখতার হোসেন বলেন,‘ঘটনাটি আমার গোচরীভূত হয়েছে। অতিস্বত্ত্বর ওই বৃদ্ধাকে বয়স্কভাতা প্রদানের জন্য চেয়ারম্যানকে সুপারিশ করবো।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ‘বিষয়টি খোজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment