কুমিল্লায় ঘুমন্ত ১৩ শ্রমিকের মৃত্যুর ১৭দিন পর আর্থিক সহযোগিতায় মালিক পক্ষ। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, 11 February 2019

কুমিল্লায় ঘুমন্ত ১৩ শ্রমিকের মৃত্যুর ১৭দিন পর আর্থিক সহযোগিতায় মালিক পক্ষ। একুশে মিডিয়া



এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় গত ২৫ই জানুয়ারির দিনটি ছিল, অনাকাঙ্ক্ষিত মর্মাহত বেদনাদায়ক দিন।স্মরণ কালের মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারালো ঘুমন্ত নিষ্পাপ ১৩টি তাজা প্রাণ।
বলতেছিলাম কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঘোলপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত কাজী এন্ড কোং ব্রিক ফিল্ডে কয়লা বোঝাই ট্রাক উল্টে ঘুমন্ত ১২ শ্রমিক ও হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন সহ ১৩ জন নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার কথা।উক্ত ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন আরো ২ শ্রমিক।
উল্লেখ্য কাজী এন্ড কোং ব্রিক ফিল্ডে কর্মরত এই সকল শ্রমিক এর মর্মান্তিক এমন মৃত্যু তে কুমিল্লা জেলায় শোক নেমে আসে।
ঘটনার দিন ভোর বেলা থেকেই ঘটনাস্থলে জেলার সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত জনগনের উপস্থিতি একটি বিষাদময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
সারিতে মৃত দেহ গুলো মহুর্তের জন্য বলে দেয়, এযেন লাশের মিছিল।এমন মর্মান্তিক মৃত্যু তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেই আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করার ঘোষণা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবু ফজল মীর। তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকার অনুদান টি ছিল সর্ব প্রথম শুরু।
এরপর বিভিন্ন পর্যায়ের আর্থিক সহযোগিতার মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পায় নিহত শ্রমিকদের পরিবার।ঘটনার ১৭দিন অতিবাহিত হওয়ার পর নিলফামারীর শোকার্ত পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন কাজী এন্ড কোং ব্রিক ফিল্ডের মালিক স্থানীয় ব্রিকস এর পাশ্ববর্তী গ্রাম নারায়নপুরের বাসীন্দা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার।
নিহত ১৩ জন এর পরিবারে ১ লক্ষ টাকা করে ও আহত ২ জনের পরিবারে ৫০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৪ লক্ষ টাকার অনুদান প্রদান করেন।১১ ই জানুয়ারী সোমবার ইটভাটার মালিক আ. রাজ্জাক মজুমদার এ ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১৪ লাখ টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার মালিক আ. রাজ্জাক মজুমদার তার ইটভাটায় দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের প্রতি পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহত দুই শ্রমিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরের নির্দেশে ওসব টাকা হতাহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে তার ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
এসময়  উপস্থিত ছিলেন উপজেলার আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার।
ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ,উপজেলা পিআইও কমকর্তা জোবায়ের হাসান,শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলী হায়দার প্রমুখ।




একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages