একুশে মিডিয়া, কক্সবাজার রিপোর্ট:>>>
কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানাধিন কুতুবদিয়ার ধুরুম বাজার এলাকার আদম ব্যাপারী কর্তৃক বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ার ধুরুমবাজার সংলগ্ন এলাকার মরহুম হাবীব উল্লাহ মেম্বারের পুত্র আদম ব্যাপারী মোঃ আব্দুর রহিম (৩২) বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভার দক্ষিণ জলদী আস্করিয়া পাড়া ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ আরমান ইকবালের নিকট থেকে প্রায় ৬মাস পূর্বে মালয়েশিয়া গমন ও চাকরি ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলে মৌখিক চুক্তি করে। এদিকে আরমান তার প্রতি বিশ্বাস রেখে তার বড় বোনের জামাই সিরাজুল ইসলাম, খালাত ভাই মোঃ এয়াকুব, ফুফাত ভাই মোঃ জাকারিয়া, মামাত ভাই মোঃ ফারুখ ও মোঃ রাসেল সহ ৫জনের প্রত্যকের ২লক্ষ ২০হাজার টাকা করে মোট ১১লক্ষ টাকার চুক্তি করে।
চুক্তিকৃত টাকার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আব্দুর রহিম তার পূবালী ব্যাংক একাউন্টে ও বিকাশের মাধ্যমে ৯লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নগদ গ্রহন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১/২/১৯ তারিখে ওই ৫জনের ভিসা প্রদান করলে তারা ৩/২/১৯ তারিখে ঢাকা শাহ্ জালাল বিমান বন্দরে গিয়ে জানতে পারে ৫টি ভিশার সবকটি ভিসা'ই দালাল নকল ভিসা ও বিমানের টিকেট।
ঢাকায় গিয়ে কাগজপত্র যাচাই করে জানতে পারে যে, চুক্তি অনুযায়ী কাগজপত্র গুলো সঠিক নাই। নকল ভিসায় তারা বিদেশ গমন থেকে বিরত থাকে এবং আরমান ইকবালের পিতা আব্দুর রহমান তাদের আত্মীয়স্বজনদের জন্য প্রদানকৃত টাকা দালাল মোঃ আব্দুর রহিমের নিকট থেকে ফেরৎ চায়।
দালাল আব্দুর রহিম টাকা ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। উক্ত টাকা ফেরৎ চাইলেই দালাল আব্দুর রহিম টাকা ফেরৎ না দিয়ে বরং আরমানের বাবা মোঃ আব্দুর রহমানকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপরে দালাল আব্দুর রহিমের নিকট জানতে চাওয়া হলে, তিনি মৌখিক চুক্তির বিষয়টি স্বীকার করেন।
আরমান ইকবালের পিতা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছেলের সাথে মালয়েশিয়ায় থাকাকালে আব্দুর রহিমের সাথে পরিচয় হয়। তাকে বিশ্বাস করে আমার ছেলে আরমান আত্মীয় স্বজনের ভিসার জন্য মৌখিক চুক্তি করলে চুক্তির ভিত্তিতে ৫টি ভিশা বাবদ ৯লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করি।
পরে জানতে পারলাম তার দেওয়া সব ভিসা ছিল নকল। সে প্রতারণা করে উল্টো হুমকি ধমকি দিলে আমি নিজেই ওই দালাল আব্দুর রহিমের বিরোদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (কোতোয়ালী) থানায় তার বিরোদ্ধে অভিযোগ দাখিল করি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment