পাঁচবিবিতে ভিক্ষা করে ওমরা হজ্বে যাওয়ার টাকা যোগার করছেন আশেদা বিবি। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 2 March 2019

পাঁচবিবিতে ভিক্ষা করে ওমরা হজ্বে যাওয়ার টাকা যোগার করছেন আশেদা বিবি। একুশে মিডিয়া


সাজেদুল ইসলাম টিটু, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:>>>
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে প্রায় ৭০ বছর বয়সী এক মহিয়সী নারী ভিক্ষা করে উমরা হজ্বে যাওয়ার জন্য টাকা যোগার করছেন। ঘটনাটি জেনে খুবই অবাক হলাম। আসুন,এমন একটি বাস্তব ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হই। 
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি'র প্রাণকেন্দ্র তিন মাথার দেওয়ান মোবাইল প্লাস থেকে আশেদা বিবি প্রতি সপ্তাহে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতো।
প্রতি সপ্তাহে তিনি কিসের টাকা পাঠান,দেওয়ান মোবাইল প্লাসের স্বত্তাধীকারী ও তিনমাথা কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাসেল দেওয়ান আশেদা বিবিকে জিজ্ঞাসা করলে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আশেদা বিবির জন্মস্থান জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। পাশের উপজেলা কালাই থানায় তার শশুর বাড়ি। চার মেয়ে ও দুই ছেলের জননী আশেদা বিবি। মেয়েরা শশুর বাড়িতে সংসার করছে। দুই ছেলের একজন ঢাকায় রিক্সা চালায়। একজন বাড়িতে কৃষিকাজ করেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর এক বোনের সঙ্গে আশেদা বিবি জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চলে আসে। তখন থেকে পাঁচবিবি পৌর এলাকার নারায়নপুর গ্রামের নুরুল হকের বাড়িতে আশ্রিতা থাকে। সারাদিন এ বাড়ি ও বাড়ি চেয়ে-চিন্তে রাতে আশ্রয় দাতা নুরুল হকের বাড়িতে ফিরে আসে।
আশেদা বিবি বলেন,তিনি মানুষের নিকট হজ্বে যাবার কথা বলে টাকা আবদার করেন। এভাবে সপ্তাহ জুড়ে প্রায় ৬/৭ শ টাকা আদায় হয়। সেটুকু থেকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় মেয়ের নিকট প্রতি সপ্তাহে ৫০০ টাকা পাঠিয়ে দেয় জমানোর জন্য। বাকি টাকা নিজের খাওয়া ও ঔষধের জন্য প্রয়োজন হয়।
তার মতে এ পর্যন্ত তিনি ৪০০০০ টাকার মত জমিয়েছে। ওমরা হজ্ব করতে প্রায় নব্বই হাজার টাকা লাগে জেনে বাকি টাকার জন্য এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০১৭ সালে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স ক্ষেতলাল শাখায় একটি হজ্ব বীমা চালু করেন আশেদা বিবি। প্রতি মাসে ২০০০ টাকা পরিমানে ৬ মাসে ১২০০০ টাকা জমা করার পর জানতে পারে এটি দশ বছর মেয়াদী। এতো দীর্ঘ সময় তিনি অপেক্ষা করতে পারবেন না জন্য সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে এখনো তিনি সেই জমাকৃত ১২০০০ টাকা ফেরত পাননি।
পৌর এলাকার নারায়নপুর গ্রামের পাঁচবিবি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ও আশেদা বিবির আশ্রয় দাতা নুরুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ঘটনার সত্যতা।
নুরুল হক বলেন,আশেদা বিবি তার বাড়িতে ১৮ বছর থেকে বসবাস করছেন। আমরা তার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছি এবং তার মেয়েরাও আমাদের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেছে। তিনি আমাদের বাড়ির সদস্যের মত হয়ে গেছে। আমার স্ত্রীর নিকট শুনেছি তিনি ওমরা হজ্বে যাওয়ার জন্য মেয়ের নিকট টাকা জমাচ্ছেন।
আশেদা বিবির সঙ্গে সাক্ষাত করে জানতে চাওয়া হয়েছিল কেনো তার হজ্বে যাওয়ার ইচ্ছা জাগলো,তার উপর তো হজ্ব ফরজ হয়নি। তিনি বলেন,অনেক আগে থেকেই আমার হজ্ব করার ইচ্ছা ছিল,নুরুল হকের বড় ভাই নুর মোহাম্মদ স্বামী-স্ত্রী দুজনের হজ্ব করে আসা দেখে আমার মনের ইচ্ছাটা আরো বেড়ে যায়।






একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages