মধ্যরাতের আগুনে কেড়ে নিল বাসু-পূর্ণিমার সর্বস্ব। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 23 March 2019

মধ্যরাতের আগুনে কেড়ে নিল বাসু-পূর্ণিমার সর্বস্ব। একুশে মিডিয়া




এবিএস রনি,  যশোর জেলা প্রতিনিধি:>>>
শনিবার দিবাগত রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন লেগে বাসু-পূর্ণিমার সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই সাথে ছাই হয়ে যায় তাদের বেঁচে থাকার শেষ আশাটুকুও।

যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব আইশ। বয়স সত্তর এর কাছাকাছি। দুই ছেলে আর দুই মেয়ের বাবা হলেও ছেলেরা তাকে দেখেনা। এক ছেলে ভারত থাকে আর এক ছেলে থাকে নড়াইলে শশুর বাড়িতে। ফলে বৃদ্ধ বয়সেও কষ্টের অন্ত নেই বাসুর। পানের বরজে কাজ করে যা পেত তাই দিয়ে কোন রকম স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে পরে চলছিল। কিন্তু কয়েকমাস আগে হঠাৎই ষ্ট্রোক করে প্যারালাইসড হয়ে যান তিনি। বাসুর স্ত্রী পূণিমা রানী তিনিও শারীরিকভাবে অক্ষম। হাটেন খুড়িয়ে খুড়িয়ে। স্বামী প্যারালাইজড হওয়ার পর পুরাতন বই খাতা কিনে কাগজের ঠোঙা বানিয়ে কোন রকম দিন এনে দিন খাচ্ছিলেন তারা।
হঠাৎই শনিবার রাত ২টার পর বাড়ির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুটিতে সৃষ্ট শর্ট-সার্কিটে আগুন ধরে যায় ঘরে। পুড়ে যায় ঘরে থাকা সর্বস্ব। জমির দলিল, ঠোঙ্গা বানানোর উপকরণ বই-খাতা, ঘরে থাকা চাউল সহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে যায়। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বাসু ও পূর্ণিমা। কেননা রাতে বাসু ও পুর্ণিমা বাড়িতে ছিলেন না। সপ্তাহ খানেক আগে তারা গিয়েছিলেন বড় মেয়ে শংকরীর বাড়িতে। যার ফলে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তারা।
এলাকাবাসী জানান, রাত দুইটার দিকে হঠাৎই ঘর পুড়তে দেখে আমরা ছুটে আসি। সকলে মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন নেভালেও বাঁচাতে পারেনি তাদের কোন মালামাল। বাসু পূর্ণিমা বড় বাঁচা বেচে গেছে। আজ যদি তারা বাড়ি থাকত তাহলে পোড়ানোর জন্য তাদের শ্মশানে নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। ঘরের ভেতরই পুড়ে ছাই হয়ে যেত। দরিদ্র এই পরিবারটির মাথা গোঁজার ছোট্ট ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা এখন থাকবে কোথায় খাবে কি?
এলাকাবাসী মনে করেন হত দরিদ্র এই পরিবারের দিকে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ নজর দেবেন। তাছাড়া বৃদ্ধ বাসু ও তার স্ত্রীর মাথা গোঁজার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। 
সকালে পুড়ে যাওয়া ঘর দেখতে যান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর তবিবর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। প্রত্যেকেই আফসোস করসেন বাসুর জন্য।
গ্রামের মেম্বর তবিবর রহমান বলেন, বাসু নিতান্তই একজন দরিদ্র ব্যাক্তি। তার সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমি আমার চেয়ারম্যানকে ও ইউনিয়নের নেতাদের জানিয়েছি। যতদুর আমাদের সাধ্য আছে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।






একুশে মিডিয়া/এসইউ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages