এম.এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সোনালী মুরগি পালন করেই সোনালী দিনের সন্ধান পেল ইয়াছিন নামের এক যুবক। তিনি উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিম ধনমুড়ি গ্রামের মৃত নাবালক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, পূর্ব ধনমুড়ি এলাকায় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত তার খামারে প্রায় ৫ হাজার সোনালী মুরগি রয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে তিনি জানান, দুই বার বিদেশের জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিত হন।
পরে ২০০৪ সাল থেকে তিনি মুরগি পালন শুরু করেন। আস্তে আস্তে স্বাভলম্বী হয়ে তিনি গত চার বছর আগে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে লেয়ার খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ৫ হাজার মুরগি ডিম উৎপাদনের জন্য রয়েছে।এসময় তিনি অভিযোগ করেন, মাঝে মাঝে ফাউল কলেরা, বার্ড ফ্লুসহ বিভিন্ন রোগে মুরগি মারা যায়।
আর মুরগির রোগ পরীক্ষার জন্য চৌদ্দগ্রামে ল্যাব না থাকায় পাশ্ববর্তী ফেনী জেলা সদরে গিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। এতে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। আর সিন্ডিকেটের কারণে বাচ্চা ও খাবারের দাম বাড়লেও মুরগির দাম বাড়ে না।
তাছাড়া অনেক সময় ডিমের দাম কম থাকায় লাভ একেবারে কম হয়।ইয়াছিন বলেন, সরকার কৃষি লোনের মত পোলট্রি খাতে কম সুদে ঋণ দিলে ব্যবসাকে আরও বড় করতে পারবো। নানা প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও তিনি স্বপ্ন দেখছেন সোনালী মুরগি পালনের মাধ্যমেই তার সোনালী দিন ফিরবে। স্বপ্ন দেখছেন সংসারের সকল অভাব-অনটন দূর করতে তার এই ক্ষুদ্র উদ্যোগই প্রধান মাধ্যম হবে এবং তার দেখাদেখি দেশের বেকার যুবকরাও নিজে থেকে উদ্যোক্তা হয়ে কাজ শুরু করবে।
এজন্য প্রধানমন্ত্রী, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজহার উল আলম বলেন, কৃষি লোনের মত প্রাণি সম্পদ লোনেরও ব্যবস্থা করা উচিত। ফলে আরও অনেক খামারী উদ্বুদ্ধ হবে।
তাছাড়া পাণি সম্পদ দপ্তর থেকে মাঈন উদ্দিন মজুমদারসহ চৌদ্দগ্রামের সকল হাঁসের খামারীদের নজরদারিতে আনা হচ্ছে। যাতে ওই সকল খামারে রোগের পরিমাণ কমে, ডিম উৎপাদন বাড়ে এবং খামারী লাভবান হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment