মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের কেজি ওয়ান ক্লাসের এক ছাত্রীর অভিভাবককে হুমকি এবং তাকে সিটি খাতা দেয়া হবেনা বলে এ্যাসেম্বিলিতে না যেতে দেয়ার ঘটনায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভুক্তভোগী অভিভাবক সাংবাদিক জাভেদ হোসেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের বরাবর এ অভিযেগ করেন।
ছাত্রীর পিতা সাংবাদিক জাভেদ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি সকাল ৮টায় তার কেজি ক্লাসের মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান এবং সিটি পরীক্ষার জন্য সিটি খাতা কিনতে স্কুলের ভিতর প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি সিটি খাতা চাইলে স্কুলের পিয়ন তাকে বাইরের জানালায় কাউন্টারে যেতে বলেন। তিনি কাউন্টারে গিয়ে অপেক্ষার সময় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের গোলোযোগ দেখে সেখানে দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক শারমিন জাহানকে সুশৃঙ্খল নিয়মে সিটি খাতা প্রদান করার অনুরোধ জানান। এ কথায় তিনি উত্তেজিত হয়ে স্কুলের আয়া, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক এবং তার মেয়ের সামনে তাকে অপমানজনক কথা বার্তা বলেন, এবং তার কেজি ওয়ান শ্রেণির মেয়েকে সিটি খাতা দিবেনা বলে হুমকি প্রদান করেন। এক পর্যায় সেখানকার আরও একজন সহকারী শিক্ষক ও ক্যাশিয়ার জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাতকে অভিভাবক জাভেদ বিষয়টি জানালে তিনি তাকে অফিস কক্ষে বসিয়ে রেখে দীর্ঘক্ষণ পর সিটি খাতা নিয়ে আসেন। ততক্ষণে স্কুলের এ্যাসেম্বিলি শেষ হয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে প্রবেশ করে এবং ক্লাস শুরু হয়ে যায়।
সাংবাদিক জাভেদ হোসেন বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থার দাবি জানান।
এব্যাপারে কাউন্টারে অবস্থানরত বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের আয়া জাহানারার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, জাভেদ ভাই স্কুলে খুব ভদ্রভাবে এসে বাচ্চাকে রেখে যান আবার ছুঁটি হলে এসে নিয়ে যান আমি তাকে স্কুলের শুরু থেকে দেখে আসছি তার বড় মেয়েও এখানে পড়তো। আজকে তার সাথে শারমিন ম্যাডাম যে বাজে ব্যাবহার করেছে দেখে আমারই খারাপ লেগেছে।
বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও ক্যাশিয়ার জান্নাতুল ফেরদৈাস জান্নাত বলেন, কেজি ওয়ান শ্রেণির ছাত্রীর অভিভাবকের সাথে উদ্ধত্যপূর্ন আচরনের বিষয়টি আমি জানি। জাভেদ ভাই সকালে আমাকে অফিসে এসে বলার সাথে সাথে আমি তাকে অফিসে বসিয়ে রেখে তার মেয়ের জন্য সিটি খাতা আনতে যাই এবং শারমিন জাহান যে তাকে লাঞ্চিত করেছে এটা তার কথায় আমি বুঝতে পাই যা কোনভাবেই সে ঠিক করেননি।
অভিযুক্ত শিক্ষক শারমিন জাহানের নিকট মুঠোফোনে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বিকার করে বলেন, আমি তার সাথে কোন খারাপ আচরন করিনি।
বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোমা সেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এখন দেখি জেলা প্রসাশক স্যার আমাকে কি নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
গাইবান্ধা জেলা প্রসাশক আবদুল মতিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সরকারী কাজে রংপুর অবস্থান করছি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment