সিলেটে ‘দুর্নীতিবাজ’ অফিস সহকারী নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুনীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) এ স্মারকলিপি প্রদান করেন সিলেট মহানগরীর বাসিন্দা আজমল আলী, হৃদয়, শামীম, সাগর, আকবর, এহিয়া।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- নূর মোহাম্মদ ২০১০ সালে সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের বর্তমান অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। সে বর্তমানে সিলেট নগরীর শামীমাবাদ আ/এ রোড নং-৭ এর ২নং বাসার বাসিন্দা। তার পিতা মরহুম মুসলিম খলিফা সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ছিলেন এবং সিলেট নগরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পিতার চাকরির সুবাদে নূর মোহাম্মদ ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সহকারী পদে সরকারী চাকরি নেন। প্রথমে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলাপ স্ব¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বপালন করেন। পরে নানা তদবীর করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েই ‘আলাদিনের চেরাগ’ বনে যান। দেশের স্বনামধন্য সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী হাসপাতালের ঔষধ ও যন্ত্রপাতি চোরাই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন তিনি। পাশাপাশি কম্পিউটার মাধ্যমে হিসেব নিকেশে অনিয়ম ও ডিজিটাল কারচুপি করে হাসপাতালের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যান। কিনেন সিলেট মহানগরে নিজ পরিবারের নামে একাধিক বাড়ি ও গাড়ি। একসময় তার এ অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়লে তাকে সিলেটস্থ শহীদ শামসুদ্দীন সদর হাসপাতালে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়। সেখানেও নানা অনিয়ম-দূর্নীতি শুরু করলে তাকে আবারো বদলী করা হয় সিলেট সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি ঐ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত। মাত্র ১৮হাজার ৭শ ৪৫ টাকা মাসিক বেতনে সরকারী চাকরির সুবাদে স্বাস্থ্য সহকারী নূর মোহাম্মদ ইতোমধ্যে সিলেট মহানগরে ৪টি বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি ও ভুসম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তার এ অনিয়ম দুর্নীতিতে সহযোগিতা করে আসছেন সিলেট ওসমানী হাসপাতালের নার্সিং কর্মচারী নূরুল ইসলাম ও রেজাউল করিম, তাজুল ইসলাম ও ওয়াহিদুর রহমান সহ অনেকেই। নুন আনতে পান্তÍা ফুরায় পরিবারে সদস্য নূর মোহাম্মদের এহেন আর্থিক উত্থানে নগরবাসী হতবাক। তার আকস্মিক এ উত্থানের বিষযটি সম্প্রতি ও বর্তমানে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহুল আলোচিত হয়ে ওঠেছে। সচেতন নাগরিকদের বিশ্বাস অনিয়ম-দূর্নীতি ও ঘুষখোর সরকারী সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারি নূর মোহামম্মদ-এর এহেন উত্থান ঘটেছে। তাই তার অনিয়ম-দূনীতি এবং ঘোষ গ্রহনের বিরুদ্ধে ও বহির্ভুত সম্পদের তদন্ত করে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপির অনুলিপি স্বাস্থ ও পরিবারমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, দুদক সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক, ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরিচালক, নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে পাঠানো হয়।
একুশে মিডয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment