সবুজ সরকার (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : >>>
সিরাজগঞ্জের (বেলকুচি -এনায়েতপুর) আঞ্চলিক সড়কটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন অনাদরে অবহেলিত হয়ে পড়ে ছিল বেশ কয়েকটি বছর।
প্রায় ছয় মাস পূর্বে এই আঞ্চলিক সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ একটি নামধারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ২৪ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার কাজের যে গতি ছিল তা দেখে যাত্রীসাধারন, যানবাহন চালক ও পথচারীরা বেশ আনন্দিত হয়েছিল।
কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এ সংস্কার কাজের গতি দিন দিন কমে আসতে শুরু করে। কোন কোন জায়গায় সম্পূর্ণ কার্পেটিং তোলা হয়েছে আবার কোথাও বা সামান্য তোলা। কিছু অংশের কাজ শেষ না হতেই অন্য অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয় যার কারনে প্রতিনিয়ত হচ্ছে দুঘর্টনা। সড়ক দিয়ে যখন যানবহন চলাচল করে তখন ধূলাবালিতে কুয়াশার মতো পুরো সড়ক ঢেকে যায়।
যার ফলে পথচারিরা যাতায়াত করার সময় নাক ও মুখেরর ভিততে ধূলাবালিতে প্রবেশ করে। এর ফলে মানুষকে নানা রকম রোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রায় ২ সপ্তাহের অধিক সময় লক্ষ্য করে দেখা যাচ্ছে এই সড়কের সংস্কার কাজ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে আছে। দেখা মিলছে না সড়কটির সংস্কারের কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের।
পথচারীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, সড়ক সংস্কারের কাজ যে এতো ধিরগতিতে হয় তা আমরা কখনও দেখিনি ।
শুনেছি ২৪ কোটি টাকার কাজ কিন্তু কাজের গতি দেখে মনে হয় ওনারা সড়ক সংস্কার করছেন ফ্রি ভাবে। কাজের নামে ৬ মাস ধরে ধূলাবালিতে আমাদের জিবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। আমরা এই ধূলাবালি খাওয়া থেকে মুক্তি চাই।
ট্রাক ড্রাইভার আশাফুল ইসলাম ও আরফান মিয়া জানায়, আমরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু গাড়িঘোরা যখন রাস্তা দিয়ে যায় তখন ধূলাবালুর কারনে কিছু চোখে দেখা যায় না। এই রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আসারপর নিজের চেহারা নিজে ধুলাবালুর কারনে চিনতে পারি না। আমরা এই সড়কের দ্রুত সংস্কার চাই আর ধূলাবালু খাওয়ার হাত থেকে মুক্তি চাই।
ধূলাবালির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কিত জানতে চাইলে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, ধূলাবালি মানব দেহের জন্য খুবই বিপদজনক একটি বিষয়। মানুষের নাক ও মুখের ভিতের ধূলাবালি প্রবেশের ফলে ফুসফুস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম তালুকদারে মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলে তিনি ফোন ধরেননি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment