মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পিডিইপি-৪-এর অর্থায়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেতকাপা ক্লাস্টারের শিশু শ্রেণীর বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার বেতকাপা ক্লাস্টারের আওতায় ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ক্লাস্টারের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণীর শিক্ষা উপকরণ ক্রয় বাবদ ১০ হাজার টাকা করে পিডিইপি-৪-এর বরাদ্দ দেয়া হয়।
বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ওই ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম সারোয়ার আলম সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে শিশু শ্রেণীর উপকরণ ক্রয় করে বিতরণ করেন। সরেজমিন গিয়ে বেতকাপা ক্লাস্টারের মুরারীপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা বেগমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, শিশু শ্রেণীর বরাদ্দের অর্থ দিয়ে এটিও স্যার আমাকে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় বাবদ সাড়ে ৫ হাজার টাকাসহ নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা দেন।
এসময় অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঃ কদ্দুসকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, এব্যাপারে তাকে কিছুই অবগত করানো হয়নি। এরপর বেতকাপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে প্রধান শিক্ষকদের নিকট শিশু শ্রেণীর উপকরণ ক্রয় ও নগদ অর্থের বিষয়ে জানতে চাইলে সকলেই জানান, ক্লাস্টারের সব বিদ্যালয়েই একই ভাবে শিক্ষা উপকরণ ও
বিতরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই নয় অত্র ক্লাস্টারের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম দৃশ্যমান।
এ বিষয়টি বেতকাপা ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম সারোয়ার আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিগত বছরে শিশু শ্রেণীর বরাদ্দকৃত অর্থ প্রদান করা হলেও বেশকিছু বিদ্যালয়ই শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করেন নাই।
তাই এ কারণে চলতি বছর ক্লাস্টারের ৫টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করে তা বিতরণ করা হয়েছে।
ওই কমিটির মাধ্যমেই মাঠেরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিশু শ্রেণীর শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্যাহিশ শাফী জানান, এ রকম একটি সিদ্ধান্তের কথা আমিও শুনেছি।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment