একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পাঁচ দিনব্যাপী বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী-২০১৯ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চারুকলা অনুষদ চত্বরে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।
চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের চারুশিল্পে উৎসাহিত করতে চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্রে শ্রেষ্ঠ ১৮ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন পুরস্কার, শিল্পী বনিজুল হক স্মৃতি পুরস্কার, শিল্পী আসাদুল ইসলাম আসাদ স্মৃতি পুরস্কারসহ তিন শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে রাজশাহী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় অধুনালুপ্ত পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি মহসীন খানকে গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘সামনে পহেলা বৈশাখ। বাঙালি জাতির আত্মার সাথে মিশে আছে এই উৎসব। বাঙালির যে চিরাচরিত সংস্কৃতি তাকে ধরে রাখতে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা অবিরাম পরিশ্রম করে যায়। তাছাড়া সমাজের নানা চিত্র তুলে ধরে চারুকলার শিক্ষার্থীরা বেছে নেয় রং তুলি। তারা উগ্রবাদী না হয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর নিরব বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে চিত্রকলা।
তিনি আরও বলেন, ‘বাক্য দিয়ে অঙ্ক দিয়ে যা প্রকাশ করা যায় না কিন্তু তা চিত্রের মাধ্যমে সব কিছু প্রকাশ করা যায়। সমাজের দুর্দান্ত খারাপ মানুষের যে প্রকাশ তা চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরে। সমাজের অন্যান্যদের চাইতে তারা সমাজকে আলাদাভাবে দেখে। আগে মানুষে মানুষ বিশ্বাস করতো ছবি আঁকলে পাপ হয়। কিন্তু এসব ধর্মান্ধতা দিয়ে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। আর সমাজের উন্নয়ন করতে না পারলে চারুকলা পড়ার কোনো সার্থকতা থাকবে না।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুশান্ত কুমার অধিকারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, সহযোগী অধ্যাপক আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিহা তাবাসসুম সুমাইয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেষে চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী কৃতি শিক্ষার্র্থীদের ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment