একুশে মিডিয়া, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
সদ্য সমাপ্ত ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার পরাজয়ের পর শংকরপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে যে তাণ্ডব চলছিল তার রিপোর্ট বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ার পর পরই নড়েচড়ে বসেছে হাইব্রীড আওয়ামীলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা, প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে তারা নিজেদের পক্ষে জনমত নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
গত ৩১ তারিখে শংকরপুর ০১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব হাবিবুর রহমান মন্ডল, ফেরিঘাটের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয় বিএনপি-জামাত থেকে আসা নব্য আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা, শুধু লাঞ্ছিত করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি বরং এ ব্যাপারে সংবাদপত্রে নিউজ প্রকাশ হওয়ার পরে তারা ভুক্তভোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে এবং প্রাণে মেরে ফেলার কথা বলছে।
যার কারণে আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন অতিবাহিত করছে, বিগত দিনে এই হাইব্রীড জাহাঙ্গীর বকুলিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর অকথ্য নির্যাতন মারধর চাঁদাবাজি করত এমনকি মহিলাদের লাঞ্চিত করতে পিছপা হয়নি যার প্রমাণ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা ঝুলছে ।
এসব অনৈতিক কাজের কারণে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হবিবর রহমান মন্ডলের কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, হবিবার রহমান মন্ডল এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি-ধামকি প্রদান করে এবং ভুক্তভোগীদের সাথে জোর করে আপোষ করার জন্য সভাপতিকে একের পর এক চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু গ্রামের লোক জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে থাকায় সভাপতি তার অবৈধ আবদার ফিরিয়ে দেন।
যার কারণে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা সভাপতির উপর চরম রাগান্বিত হয়, সবশেষ ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাচনে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার কারণে হবিবার রহমান মন্ডল নৌকার পক্ষে কাজ করেন এবং গ্রামের অধিকাংশ আওয়ামীলীগ ঘরানার মানুষ তার সাথে ছিলেন কিন্তু জাহাঙ্গীর ও তার উশৃংখল সহযোগীরা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোট করে নিরীহ জনগণকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করেন, সুস্থ স্বাভাবিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। যার পরিপেক্ষিতে তারা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হবিবার রহমানের উপর হামলা করে মারাত্মকভাবে আহত করে, এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে বাঁকড়া ফাঁড়ি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিন কে জানালে তিনি সহ সহযোগী ফোর্সদের নিয়ে ঘটনার তদন্ত করতে বকুলিয়া গ্রামে যান, পুলিশ আসার কথা শুনতে পেরে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা গা ঢাকা দেন এবং বিভিন্ন জায়গায় বলতে থাকেন আমাদের নামে পুলিশে অভিযোগ করা এর ফল সভাপতি হবিবার রহমান কে ভোগ করতে হবে, এমতাবস্থায় হবিবর রহমান ও তার অনুসারীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছে, এমন চরম সত্য ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর তারা নিজেদের অপরাধ ধামাচাপা দিয়ে তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছে।
আর এসব হাইব্রীড আওয়ামীলীগ কর্মীদের মদদ দিচ্ছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজান ধাবক এমনটিই অভিযোগ উঠেছে। তবে তার নাম প্রকাশিত সংবাদে আসায় তিনি এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ দিয়েছেন, বলেছেন জনপ্রিয়তার কথা, প্রকৃত ঘটনা সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অর্থের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রতিবাদ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য এলাকার জনগণ স্থানীয় প্রশাসন এর কাছে দাবি করেছেন যেন তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment