পলাশবাড়ীতে কলেজ ছাত্রীসহ ৫ জন আহতের ঘটনায় ৪ দিনও আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, 12 April 2019

পলাশবাড়ীতে কলেজ ছাত্রীসহ ৫ জন আহতের ঘটনায় ৪ দিনও আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। একুশে মিডিয়া


মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মাদকাসক্ত আনিছুরের হামলায় কলেজ ছাত্রী দুই বোন ও তার চাচাসহ ৫ জন  গুরুত্ব আহত। এ ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ কোন আসামীকে  গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বিবরন ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা যায়,উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিরামের ভিটা গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে কলেজ ছাত্রী
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী দিপা আক্তার ও তার বোন স্কুলছাত্রী  জেমি আক্তার। ঘটনারদিন ৮ এপ্রিল হরিনাথপুর ইউনিয়নের কিশামত কেওয়াবাড়ী গ্রামে থাকা তাদের একটি জমিতে পোটল উঠাতে যায়। এসময় ওই জমির পাশের বাড়ীর মৃত আবুল হোসেনের মাদকাসক্ত ছেলে আনিছুর (৪০) প্রথমে তাদের দু'বোনকে অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দসহ ওই জমি থেকে পোটল তুলতে বাধা প্রদান করে।
আনিছুরের বাধা উপেক্ষা করে তারা পোটল উঠাতে থাকে। এসময় আনিছুর তার সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র (চাকু) বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের দু'বোনকেই আঘাত করে।
এলোপাতারি আঘাতে দু'বোনকেই রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত করে। এতে কলেজ ছাত্রী দিপার  বাম হাতের একটি আঙ্গুল কেটে মাটিতে পড়ে যায়।
শুধু তাই-ই নয় মাদকাসক্ত উন্মাদ আনিছুর তার হাতে থাকা লাইলোনের রশি দিয়ে দিপার  গলায় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
এসময় আহত  দিপার ছোট বোন স্কুল ছাত্রী জেমি বড় বোনকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাকেও উপূর্যপরি আঘাত করে।এতে ডান-পা কেটে গিয়ে সেও রক্তাক্ত জখম হয়। 
দু'বোনের এমন পরিস্থিতি দেখে তাদের চাচা নুরুল ইসলাম (৬০) এগিয়ে আসলে আনিছুর গং'রা তাকেও ধারালো চাকু দিয়ে মাথায় আঘাত করে।এতে মাথা ফেটে রক্ত ঝড়ায় সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে।
তার মাথায় ৯ টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রক্তাক্ত গুরুতর জখম স্বামী এবং ভাতিজিদের উদ্ধারে হাসিনা বেগম (৫৫) ও মঞ্জুয়ারা বেওয়া (৫০) এগিয়ে আসলে আনিছুর তাদেরকেও গুরুতর জখম করে আহত করে।
উৎসূক স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাদের গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতরা ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় ওইদিনই মামলা দায়েরের জন্য আব্দুল জলিল পলাশবাড়ী থানায় একটি এজাহার দাখিল  করেন।
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ হিফজুল আলম মুন্সি এজাহারটির সত্যতা যাচাইয়ে হরিনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে প্রেরন করেন।
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই কামাল ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত শেষে তা থানায় দাখিল করেন।
পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হিফজুল আলম মুন্সি গত ১০ এপ্রিল মামলাটি  রেকর্ডভুক্ত করেন।
এঘটনায় মাকদাসক্ত আনিছুর ও তার সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে মামলাটি প্রত্যাহারে ওই কলেজ শিক্ষার্থীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।শুধু ভয়ভীতিই নয় রীতিমত হত্যা-গুম-খুনের হুমকি দিচ্ছেন বলে ভূক্তভোগিরা জানান।
এমনকি তাদের দু'বোনকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছেন বলে তাদের পারিবারিক সূত্র জানায়।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে পরিবারটি  নিরাপত্তাহীনতার নানা সংশয়ে ভূগছেন।
কলেজ পড়ুয়া মেয়েসহ পরিবারটির সার্বজনিন নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উল্লেখ্য,ওই জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মামলা চলে আসছিল।বিচারাধীন মামলায় আনিছুর গংরা হেরে যায়।পরাজয় মেনে নিতে না পেরেই তারা একের পর এক এহেন নৃশংস ঘটনার সুত্রপাত ঘটাচ্ছেন বলে জানা যায়।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages