এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লায় কিশোর শ্রমিক রাশেদ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই রাশেদকে দুই বন্ধু মিলে ব্লোড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
সোমবার জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ফুলতলী এলাকা থেকে শ্রমিক রাশেদের লাশ উদ্ধারের মাত্র ১৬ ঘন্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের রহস্য বেড়িয়ে আসে।
নিহত রাশেদ জেলার আদর্শ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে। হত্যাকান্ডে জড়িত রাসেল (১৮) ও আরিফ (১৮) কে গ্রেফতারের পরই বেড়িয়ে আসে হত্যার রহস্য। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরেই শ্রমিক রাশেদকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা করে ঘাতকরা।
আধুনিক টেকনোলজি এবং কৌশল ব্যবহার করেই এ হত্যায় জড়িতদেরকে শনাক্ত করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকা এবং কারণ সম্পর্কে স্বীকারোক্তি দেয় ঘাতকরা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আজিম উল্লাহ, ডিআইও-১ মাহবুব মোরশেদ, ওসি ডিবি নাছির উদ্দিন মৃধা, সদর দক্ষিনের ওসি মামুন রশীদসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম রাশেদকে হারিয়ে পাগলপ্রায় পরিবারের সদস্যরা।
৪ বোন দুই ভাই মাসহ পরিবারটি চলতো একমাত্র রাশেদের উপার্জনে। উল্লেখ্য: রোববার জেলার সদর দক্ষিণ এলাকার ফরিদ গ্রুপের শ্রমিক রাশেদকে অপহরণ করা হয়। সোমবার ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মোবাইল টেকনোলজির মাধ্যমে সন্দেহভাজন ঘাতকদেরকে আটক করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment