উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:>>>
নড়াইলে অপহৃত আকমালকে উদ্ধারের পর তার অপহরণকারীকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নড়াইল জেলা পুলিশ।
৬ এপ্রিল শনিবার পঞ্চগড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার পাঁচপীরবেনা গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ নড়াইলের ধোন্দা গ্রাম থেকে অপহৃত আকমলকে পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর নড়াইল সদর থানায় আকমল নিজে বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে নড়াইলর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তথ্য মতে নড়াইল জেলা পুলিশ নানা ভাবে অপহরণকারীর অবস্থান নির্ণয় করার চেষ্টা করে।
অবশেষে ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতিতে তার অবস্থান নির্ণয় করে জানতে পারে সে পঞ্চগড় জেলায় অবস্থান করছে।
এ সময় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম বার এর নির্দেশে নড়াইল সদর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ইলিয়াস হোসেন, পিপিএম নড়াইল সদর থানার এসআই ওহিদ এর নেতৃত্বে একটি অভিযান টিম গঠন করে পঞ্চগড়ে অভিযানে পাঠান।
সেখানে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় টানা ০৩ দিনের অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদ্বয়ের মধ্য থেকে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ০৮ এপ্রিল, সোমবার সকালে নড়াইল সদর থানায় আনা হয় এবং কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরন করে।
এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম বার এ একুশে মিডিয়াকে বলেন, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে নড়াইল সদর উপজেলার ধোন্দা গ্রাম থেকে অপহৃত আকমল শেখ (৫০)-কে পঞ্চগড় থেকে উদ্ধারের পর অপহৃত আকমলের দায়ের করা মামলার তথ্য ও ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতিতে অপহরণকারীর অবস্থান নির্ণয় করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম বার একুশে মিডিয়াকে আরো বলেন, আকমল অপহৃত হওয়ার পরর প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশের একটি বিশেষ অপারেশন টিম পঞ্চগড়ে পাঠাই। পুলিশ অপহৃত কামালকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে মামলার তথ্য ও ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতিতে অপহরণকারীর অবস্থান নির্ণয় করে অপহরণকারীদ্বয়ের মধ্য থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য অপারেশন টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment