রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:>>>
রাস্তায় ধান লাগিয়ে, কখনো রাস্তা খুড়ে মানুষের প্রতিবাদের ভাষা দেখা গেছে। তবে এবার ঝিনাইদহের একটি বাজারের ভাঙ্গা রাস্তার উপর নৌকা চালিয়ে রাস্তা মেরামতের দাবী জানানো হয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, পাঁচ বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য।
এলাকাবাসি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামতের দাবী জানিয়ে আসলেও তাতে সাড়া দেয় না ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। অগত্য কি আর করা ! কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে এবার নৌকা চালিয়ে রাস্তা মেরামতের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
ঝড়বৃষ্টির পর ভাঙ্গা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে সোমবার বিকালে এলাকার স্কুল ও কলেজগামী যুবকরা বিশাল আকারের একটি নৌকা চালিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর বাজারে।
রাস্তায় নৌকা চালানোর এই দৃশ্যটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান তার আইডিতে এই ছবি পোষ্ট করলে অনেকেই তা শেয়ার করেন। সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নওশের আলী রাস্তায় নৌকা চালানোর কথা স্বীকার করে বলেন, খালিশপুর বাজার থেকে লক্ষিপুর পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে গেছে। রাস্তায় এখন খালি পায়েও চলা যায় না।
গত ৫ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ন এই সড়কটি মেরামত হয়না। আমরা বহুবার ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে বলেছি। তারা আমাদের অভিযোগ আমলে নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ এলাকার ছেলেরা ভাঙ্গা রাস্তা জমে থাকা পানিতে নৌকা চালিয়ে প্রতিবাদ করেছে। সাফদারপুর বাজারের ব্যবসায়ী আবু নছর জানান, খালিশপুর থেকে লক্ষিপুর পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত না করার কারণে এলাকার প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কালীগঞ্জ সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদার রহমান জানান, কোটচাঁপুরের চাঁদপাড়া, তালিনা, লক্ষিপুর, সাবদারপুর হয়ে খালিশপুর বাজার পর্যন্ত মো ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। গত বছরও পিএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়।
কিন্তু হেড অফিস অনুমোদন দেয় নি। ফলে উপর মহলের পরামর্শে এডিবি দিয়ে বিধ্বস্ত রাস্তটি মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য স্বীকার করে বলেন, আশা করা যায় আগামী জুনের পর গোটা রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন ইতিমধ্যে এডিপি থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা করার অনুমোদন এসেছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment