উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:>>>
নড়াইলের দুর্নীতিবাজদের সাধান করে দিলেন সাংসদ মাশরাফির 'আমি ব্যক্তি উন্নয়ন করতে আসিনি, আমাদের লক্ষ্য সামষ্টিক উন্নয়ন। আমার কাছে বিভিন্ন জন আসেন ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য- আমি আপনাদের বলছি, ব্যক্তির উন্নয়ন নিয়ে না ভেবে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে ভাবুন, আমার কাছে আসুন'।
নড়াইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিনি সকলের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। এর আগে ২৪ মার্চ ভোরে নড়াইলে পৌঁছে তিনি লেগে পড়েছেন এলাকার উন্নয়নের কাজে। সকালে এলাকার প্রবীণ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করে যোগ দেন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের সভায়। সেখানে সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সুধীজনের কথা শোনেন। এলাকার মানুষের দাবি-দাওয়া আর সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মকা-ের নানা বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন তিনি। এলাকার মানুষের কথা শুনে তা নোট করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেন।
দুর্নীতির এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আমার কাছে দু'জনের দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ আছে, তাদের নাম বলছি না। আমি নিজেই তাদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা করবো, আমার বিরুদ্ধে আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে বলেন, আমি সংশোধন করে নেব' একথা বলে নড়াইলে দুর্নীতিবাজদের হুঁশিয়ারি দিলেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি, এমপি।
গত কয়েকদিনে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে নড়াইলের উন্নয়ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে তিনি তার হতাশার কথা ব্যক্ত করে বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে নড়াইলের কয়েকটি মসজিদের জন্য দেওয়া প্রকল্প আমাকে ছাড়াই ছাড় করা হয়েছে, আমি জানি কে এটা করেছেন। আমি সেটা মন্ত্রণালয়ে বলে এসেছি, তারা ব্যবস্থা নেবেন।
মধুমতি আর নবগঙ্গা নদীর ভাঙনের ব্যাপারে তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নদী ভাঙনের যে তালিকা আছে তাতে নড়াইলের কোনো নদীর নাম নেই, তাহলে কিভাবে নদী ভাঙন রোধে কাজ হবে। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কাজের ব্যাপারে আক্ষেপ করে এমপি বলেন, আমার আগে গত ১০ বছরে কোনো জনপ্রতিনিধি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে যায়নি তাহলে এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করবো কোথা থেকে।
বিশ্বকাপ দলের ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মোর্তজা, এমপি। বিশ্বকাপ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দেবার আগে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্বটুকু সারতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নড়াইলে। এ সময় এলাকার রাস্তাঘাট, নদীভাঙন, সরকারি জমি দখল, কলেজ বিদ্যালয়ের নানা বিষয়ের সমস্যা শোনেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে নানা ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তির সুপারিশ এর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি যখন কোনো সুপারিশ করিনা তখন অন্য কারো সুপারিশ আপনারা কেন গ্রহণ করেন। এ সময় নড়াইলের জেলা প্রসাসক আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন পিপিএম (বার) মাশরাফির বাবা গোলাম মোর্তজা স্বপনসহ জেলার গণপূর্ত, পাউবো, সড়ক ও জনপথ, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সুধী সমাজ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। বলেন, নড়াইলের অনেক সমস্যা আছে, আমরা চিন্তা করলেই সেগুলো পরিবর্তন হয়ে যাবে না, আশা করি পর্যায়ক্রমে সব বিষয়ে আমরা ভালো কাজ করতে পারবো। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লোহাগড়া উপজেলায় গমন করেন। সেখানে রাস্তাঘাটসহ নানা সমস্যা দেখেন।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment