রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:>>>
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নওদা গ্রামের এনায়েত হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪৫) ও তার মা শামসুন নাহার (৮০) কে শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের মধ্যে কুপিয়ে পালিয়ে যায় যায় সন্তান ইমরান। পরবর্তীতে গ্রামবাসী উদ্ধার করে তাদের যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা দুই জনই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম জানান, মহেশপুর গার্লস স্কুলের কারিগরী বিষয়ের শিক্ষক মর্জিনা বেগম তার সন্তান ইমরান ও তার মা শামসুন নাহারকে নিয়ে বসবাস করতেন। ছেলে ইমরান ছিল মানষিক রোগী। বিভিন্ন সময় সে তার মা ও নানীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। ২০০৪ সালে যখন তার মায়ের ডিভোর্স হয় সে বছর সে তার দাদাকে মারধোর করে। পরবর্তীতে তাকে দুইদফা পাবনা মানষিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, গতকাল রাতে ৩টার দিকে চিৎকার শুনে লোকজন গিয়ে দেখতে পান দুই জনই ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। এ সময় মর্জিনার শরীরে এলোপাতাড়ি জখমের চিহ্ন দেখতে পান তাঁরা। ইমরান ঐসময়েই পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের নিয়ে যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালে যাবার পূর্বেই তারা দুই জনই মারা যায়। ইমরান এখনও পলাতক রয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment