ঢাকার নবাবগঞ্জে তুইতাল এর খালের উপর বাঁশের সাঁকোই ১২ টি গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ লোকের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের অনেক প্রতিশ্রুতি শোনলেও কেউ আর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। তাদের নিজের অর্থায়নে নির্মিত বাঁশের সাঁকোই ভরসা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে তুইতাল খালের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে নারায়নপুর, সুজাপুর, শেরপুরসহ নয়নশ্রী ইউনিয়নের নতুন ও পুরাতন তুইতাল, বকচার,বৈরইচড়া,আফজালনগর,শৌল্লা, তাশুল্লাহ, বাংলাবাজার, বিলপল্লী সহ আরো কয়েকটি গ্রাম ও বারুয়াখালী ইউনিয়নের কাউনিয়াকান্দি গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ লোক এই সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াত করে।
পুরাতন এই জনপদে বালিকা বিদ্যাল’ মসজিদ, গির্জা ও সরকারি হাসপাতাল অবস্থিত।দূর দূরান্ত এলাকা থেকে মেয়েরা তুইতাল বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াতে আসে। বর্ষৃা মৌসুমে প্রবল স্রোতের মধ্যে নৌকায় পড়াপাড়ের সময় দূর্ঘটনা ঘটে । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকে। তিনটি ইউনিয়নের এই গ্রামগুলো পাশাপাশি হওয়াতে শুধুমাত্র ব্রীজের অভাবে নানান সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
চৈত্র সংক্রান্ত মেলায় হাজার হাজার লোকজন এই বাঁশের সাঁকোর উপর যাতায়াত করে । এ ছাড়া বকচর বিদ্যালয় ও বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশাপাশি অবস্থিত। বর্তৃমান সরকারের আমলে ব্রীজটি নির্মাণে উদ্যোগী না হওয়াতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষুপের সঞ্চার হয়েছে।
একটি ব্রীজ্রের অভাবে তিন ইউনিয়নের প্রায় ১২টি গ্রামের জনগণ সুবিধাভোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দাউদপুর ও তুইতাল বাজারের মাঝে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় মালামাল পরিবহনে বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে স্থানীয়রা। তুইতাল এলাকার বাসিন্দা স্বপ্না দাস জানায়, প্রতিবার নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা নিজের স্বার্থ আদায় করে নিয়ে সটকে পরে। আমরা কারো আশায় না থেকে নিজের অর্থায়নে প্রতি বছর এ খালে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করি, তাই আমাদের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment