এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লা জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নতুন পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) হয়েছেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ,বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রতিথযশা আইনজীবি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড মো.জহিরুল ইসলাম সেলিম। সোমবার দুপুরে তিনি বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীর এর কাছে যোগদান করেন।
এসময় আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল,অতিরিক্ত পিপি এড.গোলাম ফারুক,জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড.আবদুল মমিন ফেরদৌস,সাধারন সম্পাদক এড.হারুনুর রশিদ,সাবেক সাধারন সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এড.সৈয়দ নূরুর রহমান, সাবেক এজিএস ও মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়,গত ২১এপ্রিল রবিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী সচিব মো.আব্দুছ ছালাম মন্ডল স্বাক্ষরিত এক আদেশে কুমিল্লা জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বর্তমান পিপি এড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান লিটনকে পিপি পদ থেকে বাতিলক্রমে এবং তদস্থলে এড. মো.জহিরুল ইসলাম সেলিমকে পিপি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এড.সেলিম সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গিয়ে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো.আবুল ফজল মীর এর কাছে যোগদান করেন।
পিপি পদে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রতিক্রিয়ায় এড. মো.জহিরুল ইসলাম সেলিম অর্পিত দায়িত্ব সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এছাড়া তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা,আইন মন্ত্রী এড.আনিসুল হক,কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য,কুমিল্লা বারের স্বনামধন্য আইনজীবি এড. মো.জহিরুল ইসলাম সেলিম কুমিল্লার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও একজন পরিচিত মুখ। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতি সম্পাদক ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অকুতভয় যোদ্ধা এড.সেলিম ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যেমে রাজনীতির হাতেখড়ি নেন। ১৯৭০ সালে তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ডিজিএস নির্বাচিত হয়। ১৯৭২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদের দায়িত্ব পান।
১৯৭৮ সালে এলএলবি পাশ করে। ১৯৭৬-৭৭ সালে তিনি কুমিল্লা আইন কলেজের ভিপি ছিলেন। ছাত্র জীবন শেষ ১৯৮০ সালে কুমিল্লা বারে নিয়মিত আইনজীবি হিসেবে আইন পেশায় যোগ দেন। অল্প সময়ে তিনি কুমিল্লা আদালত অঙ্গনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে দুইবার জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও একবার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
আইন পেশার পাশাপাশি তিনি রাজনীতি,সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বার টাউন হল মিলনায়তনের সেক্রেটারী ছিলেন।
এছাড়া তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিকস সমিতি,নজরুল পরিষদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা,রেড ক্রিসেন্ট,কুমিল্লা ক্লাব,অধুনা থিয়েটার,সূর্য তরুন সংঘ সহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
তার সহধর্মেনী সহকারী অধ্যাপক নাসরিন আলম দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষকতা শেষে বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স, কন্যা মেডিকেল কলেজে ও ছোট ছেলে ডেন্টালে পড়াশুনা করছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment