প্রতিবেদক-রেখা মনি, রংপুর:>>>
রংপুরে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানার সামনে এলকাবাসীর বিক্ষোভ। সংশ্লিষ্ঠ কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, মৃদুল ও দালাল সামছুল ধর্ষনের আলামতকে নষ্ট করার জন্য শালিশ মিশাংশার কথা বলে সম্পূর্ন ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কালক্ষেপনের অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ১৫/০৪/২০১৯ইং বেলা ২টার দিকে রংপুর মহানগরীর ৪নং ওয়ার্ডের ধাপ কামারপাড়া এলাকায় দিন মজুর শাহজাহান মিয়ার ৫ম শ্রেণীতে পডু–য়া মেয়েকে একই এলাকার শ্রী ঝড়– চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী মন্টু রায় দুই সন্তানের জনক জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতা শিশুর পিতা অসহায় দিনমজুর অভিযোগ করে সাংবাদিদের বলেন, ঘটনার দিন ধর্ষক মন্টু চন্দ্র রায় তার জমিতে পানি দিতে বলে কাজের এক ফাকে বাড়ীতে গিয়ে তার ৫ম শ্রেনীতে পডু–য়া মেয়েকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতেছে এসময় পাশের বাড়ীর আক্তার বানু নামের এক মহিলা দেখে ফেলায় ধর্ষক মন্টু চন্দ্র রায় পালিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনার সংবাদটি সাথে সাথে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সারা গ্রাম জুড়ে চাঞ্চ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এ দিকে শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারাধন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সির বিলকিস ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষিত শিশুর জবানবন্দি শুনে শালিশের কথা বলে মোবাইলে যোগাযোগ করবো বলে চলে যায়।
অবশেষে অসহায় দিনমজুর শাহজাহান ন্যায় বিচারের আশায় রংপুর মেট্রো পলিটন এলাকার পশুরাম থানায় বুধবার সকাল ১০টার দিকে গেলে থানার সামনে শাহজাহানকে দাড় করিয়ে ধর্ষিতা শিশুকে থানার ভিতরে নিয়ে যায় সামছুল নামের থানার এক দালাল। সেখানে দালাল সামছুল থানার ভিতর থেকে ঘুরে এসে মামলা হয়েছে বলে পাঠিয়ে দেয় বাড়ীতে। ধর্ষিতার পিতা শাহজাহান মিয়া মামলার নকল না দেখাতে পারায় বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়। তারপর রাত ৮টার দিকে প্রায় দুইশত এলাকাবাসীসহ ধর্ষিতার পরিবার পশুরাম থানায় এসে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ধর্ষকের ফাঁসি সহ বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ঠ কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, মৃদুল ও দালাল সামছুল ধর্ষনের আলামতকে নষ্ট করার জন্য শালিশ মিশাংশার কথা বলে সম্পূর্ন ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কালক্ষেপন করেছেন।
এ বিষয়ে দালাল সামছুলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, থানায় ওসি ছিলেন না এক অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ওসি ছাড়া এ মামলা নেয়া যাবে না।
রংপুর মেট্রো পলিটন কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুক্তারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সে এলাকাটি মূলত পশুরাম থানার তবে এখানে ভিকটিমকে আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য।কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।একজন আটক।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment