জাহিরুল ইসলাম মিলন,শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:>>>
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা পুর্ব ডিজিটাল ভিলেজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা সাপ আতংকে রয়েছে। এতে একদিকে যেমন লেখাপড়ার চরম বিঘ্ন ঘটছে অন্যদিকে জীবনের ঝুকি নিয়ে শিশুদের স্কুল করতে হচ্ছে। বিদ্যালয় এর ভিতর যে কোন মুহুর্তে সাপ ঢুকে পড়ছে। আর ক্লাস না করে আতংকে তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে আসছে শিশুরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহারাব হোসেন জানান, তার স্কুলে ১২২ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্লাস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে বড় ধরনের কালো রংয়ের একটি সাপ শ্রেনীকক্ষে ঢুকে পড়লে ছেলে মেয়েরা আতংকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। পরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসেম গাজী লোকজন নিয়ে সাপটি মেরে ফেলে। ঐসময় সাপ আতংকে ছেলেমেয়েরা বাড়ী চলে যায়।
তিনি আরো জানান, বিলের ধারে ডোবা যায়গায় টিনসেড দিয়ে তৎকালীন সময়ে এই বিদ্যালয়টি নির্মান করাহয়। টিনের ফাঁক দিয়ে ঘরে প্রায়ই সাপ ঢোকে। এর আগেও বেশ কয়েক বার এমন ভাবে সাপ মেরে ফেলা হয়েছে। যে কারনে ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসতে ও ক্লাস করতে ভয় পায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। এখন বর্ষা মৌসুম চলছে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিষধর সাপেদের আনাগোনা। বিষয়টি ভয়াবহ হওযা়য় তাৎক্ষণিক ভাবে শিক্ষা অফিসে অবগত করা হয়েছে।
তদন্ত অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয়দের অনুরোধে এম পি শেখ আফিল উদ্দীন ২০১২ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৪ সালে তা জাতীয় করন করা হয়। কিন্ত এখনো পর্যন্ত কোন বিল্ডিং নির্মান করা হয়নি। লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ডোবা যায়গায় স্কুল হওয়ায় বর্ষাকালে ১ ফুট পানি জমে যায় স্কুলমাঠে । সে সময় স্কুলে সাপের উপদ্রব আরো দ্বীগুন বেড়ে যায়। এ সকল কারনে এলাকাবাসী অতিসত্বর বিল্ডিং নির্মানের দাবী জানিয়েছেন।
তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশে উপজেলাতে এখনো এমন জরাজীর্ণ সরকারি বিদ্যালয় বিষয়টি মেনে নেয়া যেন কষ্টকর। স্থানীয় পল্লী উন্নয়ন সরকার ও মাননীয় শিক্ষা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের এই বিদ্যালয়টি অতিসত্বর নতুন ভবন নির্মাণের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন এমনটি আশা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সহ এলাকাবাসী।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment